বুধবার, সকল ১০টা থেকে খুলনা নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল এর সামনে ১২ জুন ২০২৩ এর নির্বাচনে হাতপাখার মেয়র প্রার্থী হাফেজ মাওলানা অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল কে মেয়র ঘোষণার দাবিতে খুলনার সর্বস্তরের জনতার গণ জমায়েত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর এর সভাপতি মুফতী আমানুল্লাহ এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মুফতি ইমরান হুসাইন এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনার সর্বস্তরের জনতার গণ জমায়েতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০২৩ এর ১২জুনে অনুষ্ঠিত খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন পতিত ফ্যাসিজমের একটি নিকৃষ্ট মহড়া ছিলো। জনরায়কে পদদলিত করতে এবং ভোট জালিয়াতির নগ্ন ও চুড়ান্ত দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছিলো সেই নির্বাচনে। খুলনা সিটি নির্বাচন একটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলেও সেই নির্বাচনের ফলাফল জালিয়াতির সাথে পতিত ফ্যাসিবাদের শীর্ষমহলও জড়িত ছিলো। আওয়ামী লীগ সরকারের একটা বিভৎস উদাহরণ রচিত হয়েছিলো সেদিন। এখন সময় এসেছে এর প্রতিকার করার।
খুলনা কোর্ট প্রাঙ্গণের খুলনার সর্বস্তরের জনতার গণ জমায়েতে নেতৃবৃন্দ বলেন সেই নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হাফেজ মাওলানা অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল এর প্রতি যেভাবে জনতার আগ্রহ ও উৎসাহ দেখা গেছে এবং নির্বাচনের দিন সকল বুথ থেকে হাতপাখার এজেন্টদের মারধোর করে বের করে একতরফা ভোট জালিয়াতি করার পরেও অল্পসময়ে হাতপাখায় যে পরিমান ভোট পরেছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, সেই নির্বাচনে অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল-ই প্রকৃত বিজয়ী। এই প্রকৃত বিজয়ীকে তার প্রাপ্য দিতে ব্যর্থ হলে জুলাই আন্দোলনের চেতনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। রাষ্ট্রের মালিক নাগরিকের রায়ের প্রতি অসন্মান করা হবে। তাই হাতপাখার প্রার্থী অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল কে খুলনা সিটি নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন আমরা আশা করি, কালবিলম্ব না করে দ্রুততার সাথে আইনী প্রক্রিয়া শেষ করে খুলনা সিটি কর্পোরেশনে জনতার রায়ের প্রতি সম্মান রেখে াওলানা অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল কে মেয়র হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। নেতৃবৃন্দ সতর্ক করে বলেন, জনতার রায়ের প্রতি সন্মান দেখানো এবং জনরায়কে বাস্তবায়ন করার জন্য আমাদের সংগ্রাম অবিরত ছিলো, আগামীতেও অবিরাম থাকবে; ইনশাআল্লাহ।
গণ জামায়াতটি পড়ে কোট চত্বর থেকে নগর ভবনের সামনে কিছু সময় অবস্থান করেন। গণ জমায়েতে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন,আলহাজ্ব আবু তাহের, হাফেজ আব্দুল লতিফ, জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওঃ দ্বীন ইসলাম, এসিস্টেন্ট সেক্রেটারী মোঃ ইমরান হোসেন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওঃ সাইফুল ইসলাম ভূইয়া, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ তরিকুল ইসলাম কাবির, দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান সৈকত, অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবির, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতী ইসহাক ফরীদি, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক গাজী ফেরদাউস সুমন, মাওলানা হারুনা রশিদ, শিক্ষা ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মঈন উদ্দিন ভূইয়া, আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডঃ কামাল হোসেন, কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রবিউল ইসলাম তুষার, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক কারী মোঃ জামাল উদ্দিন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওঃ নাসিম উদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযুদ্ধা জিএম কিবরিয়া, সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক বন্দ সরোয়ার হোসেন, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ বাদশা খান , স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মারুফ হোসেন,
সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম খালিদ সাইফুল্লাহ, সহ প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মুফতী আমানুল্লাহ, সহ দপ্তর সম্পাদক এইচ এম আরিফুর রহমান, সহ অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক গাজী মিজানুর রহমান, সহ প্রশিক্ষণ সম্পাদক মোঃ মঈন উদ্দিন, সদস্য আলহাজ্ব আব্দুস সালাম,আলহাজ্ব আমজাদ হোসেন, আলহাজ্ব জাহিদুল ইসলাম টুটুল মোড়ল, মোঃ শহিদুল ইসলাম সজিব, মোঃ কবির হোসেন হাওলাদার, আবুল কাশেম, মোঃ বাদশাহ খান, মোঃ মিরাজ মহাজন , শ্রমিক নেতা এস এম আব্দুল কালাম আজাদ, মোঃ পলাশ শিকদার, যুব নেতা মোঃ আব্দুর রশিদ, মোঃ আব্দুস সবুর, ছাত্র নেতা মোঃ মাহদী হাসান মুন্না, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, হাবিবুল্লাহ মেসবাহ প্রমুখ।
মহামান্য আদালত আজ মামলার আদেশ দেননি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অপেক্ষা।
ঊআ-বিএস