ঊষার আলো প্রতিবেদক : দখলদারদের দাপটে নিজের বাড়ি ছাড়া হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন রহিমা বেগম অসহায় নারী। তিনি নগরীর দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা এলাকার মৃত আ: মান্নান হাওলদারের স্ত্রী। এ ঘটনায় তিনি আইন শৃঙ্খলা বিঘন্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আদালতে অভিযোগ দিয়েছেন। মহানগর দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক মো. শহীদুল ইসলাম বিষয়টি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সাথে আগামী ৪ নভেম্বর অভিযোগের পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য করেছেন।
অভিযোগের নথি পর্যালোচনায় জানাগেছে, রহিমা বেগমের স্বামী ২০১১ সালে মারা যায়। সেই সময় থেকে সন্তানদের নিয়ে অনেক কষ্টে মহেশ্বরপাশার বাড়িতে থাকতেন। কিন্তু একই এলাকার মো. ফজলুর ছেলে গোলাম কিবরিয়া (৪০), মো. মহিউদ্দিন (৫০), আনসার উদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম পলাশ (৩৬), মো. জুয়েলে, বদর উদ্দিন শরীফের ছেলে হেলাল শরীফের সাথে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। তারা তাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা করে সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে দেয়। এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরসহ গণ্যমান্যদের জানিয়ে কোন ফল হয়নি। পরে তিনি আদালতে তার স্বত্ব দখলীয়জমি বাবদ বাটোয়ারা মামলা (নম্বর দেঃ৩৯০/১৯) করেন। এতে অভিযুক্তরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি-ধামকি দেন। এসব ঘটনায় চলতি বছরের ৩০ জুলাই ও ২১ আগস্ট দৌলতপুর থানায় দুটি জিডি করা হয়। সর্বশেষ ১৭ সেপ্টেম্বর অভিযুক্তরাসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন লোহার সাবল, হাতুড়ি,দা,কুড়াল, লোহার রড তাঁর বাড়িতে হামলা চালায়। তারা বাড়ির গেট, ঘরের দেয়াল, জানালা, দরজা ভাঙচুর করে। হামলাকারীরা রহিমা বেগম ও তার মেয়েকে আদুরী আক্তারকে বেধড়ক মারপিটে রক্তাক্ত ও জখম করে। অভিযুক্তদের হামলায় দু’লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ সময় ভুক্তভোগীরা ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশের সহায়তায় বেঁচে যান। পরে হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু এ ঘটনায় দৌলতপুর থানা মামলা নেয়নি। পরে রহিমা বেগম গত ৪ অক্টোরবর আদালতে অভিযোগ দেন।
ভুক্তভোগী রহিমা বেগম জানান, আমরা আতংকে দিন কাটাচ্ছি। ভয়ে বাড়ি থাকতে পারছি না। আদালতে ন্যায় বিচারের অপেক্ষায় আছি। আমার মতো কোন অসহায় নারীর যেন পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়।