UsharAlo logo
শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আশুলিয়ায় ২৫টি ছাড়া সব কারখানায় উৎপাদন স্বাভাবিক

usharalodesk
সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪ ১১:১৫ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : ঢাকার শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার বেশিরভাগ পোশাক কারখানায় পুরোদমে চলছে উৎপাদন। ২৫টি ছাড়া বাকি সব কারখানায় শান্তিপূর্ণ ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করছেন শ্রমিকরা। শ্রম আইন অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে ২০টি ও পাঁচটি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদিকে গাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতনসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন চারটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। বুধবার সকাল থেকে টঙ্গীর বিভিন্ন কারখানার সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। আন্দোলনের পর থেকে বন্ধ আছে কারখানাগুলোর উৎপাদন কার্যক্রম। কারখানাগুলো হলো মেঘনা সড়ক এলাকার এমট্রানেট গ্রুপের গার্মেন্টস এক্সপোর্ট ভিলেজ লিমিটেড ও ব্রাভো অ্যাপারেল লিমিটেড, টঙ্গীর পশ্চিম থানা এলাকার খাঁ পাড়ায় সিজন ড্রেসেস লিমিটেড ও টঙ্গী বিসিকের টসিনিট কারখানা।

শিল্প উদ্যোক্তারা জানান, চলতি সপ্তাহে আশুলিয়ায় নতুন করে কোনো কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেনি কর্তৃপক্ষ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আশুলিয়ায় বেশ কয়েকটি কারখানায় শ্রমিকরা প্রবেশ করে কর্মবিরতি পালন করেন। পরে তারা বিভিন্ন দাবি তুলে কারখানার ভেতরে বিক্ষোভ শুরু করেন। শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এছাড়া ইউসুফ মার্কেট এলাকার জেনারেশন নেক্সট কারখানা ও পলাশবাড়ী এলাকার পার্ল গার্মেন্টসের শ্রমিকরা কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছেন। মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে লুসাকা গ্রুপের শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করছেন।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড সোয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইন বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় বন্ধ রয়েছে কয়েকটি। বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। তাই বন্ধ কারখানাগুলো খুলে দিতে আমরা মালিকপক্ষ ও বিজিএমইএর কাছে অনুরোধ করেছি। আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম জানান, শিল্পাঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি বুধবার অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন কারখানার সামনে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

এদিকে বুধবার বিকালে গাজীপুরের টঙ্গীতে সরেজমিনে কারখানাগুলোতে গিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সিজন ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকদের গত জুলাই ও আগস্ট মাসের বেতন বকেয়া আছে। বেতন পরিশোধের দাবি জানিয়ে গত মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করলে জুলাই মাসের অর্ধেক বেতন পরিশোধ করেন মালিকপক্ষ। বাকি অর্ধেক বেতনের দাবিতে বুধবার সকাল থেকে কারখানায় কাজ বন্ধ রেখেছেন শ্রমিকরা। আট দফা দাবি জানিয়ে কারখানার ভেতর কর্মবিরতি পালন ও স্লোগান দেন টঙ্গীর বিসিক এলাকার টসিনিট লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা। অপরদিকে ঈদ বোনাস, কারখানার কয়েকজন কর্মকর্তার পদত্যাগ ও পর্যাপ্ত ছুটিসহ ১৩ দফা দাবিতে গত কয়েক দিন কারখানার ভেতর কর্মবিরতি পালন করেন গার্মেন্টস এক্সপোর্ট ভিলেজ ও ব্রাভো অ্যাপারেল কারখানার শ্রমিকরা। সকালে কারখানায় এসেই কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। একপর্যায়ে কারখানার সামনে বিক্ষোভে নামেন কিছু শ্রমিক। পরে শিল্প পুলিশের অনুরোধে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা কারখানার ভেতরে চলে যান। গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (টঙ্গী জোন) মো. মোশারফ হোসেন জানান, গত কয়েকদিন যাবত এই চারটি কারখানার শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবি জানিয়ে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ চালিয়ে আসছে। শিল্প পুলিশের পক্ষ থেকে শ্রমিক ও কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করেছি। মালিকরা শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলেও আন্দোলন থামছে না।

ঊষার আলো-এসএ