বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি : বরিশালের উজিরপুরে পরকীয়া প্রেমিকার বাড়ি থেকে ইউপি সদস্য’র ভাইয়ের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবী তাকে বিষ খাইয়ে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরকীয়া প্রেমিকা মিতু ভাংরাকে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ। এদিকে শনিবার (২৬ জুন ) সকালে স্থানীয়রা সড়ক অবরোধ করে ব্যবসায়ী বাসুদেব চক্রবর্ত্তী টুনুর (৪০) মৃত্যু রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ প্রদর্শন ও মিছিল করেছেন। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল মর্গে পাঠিয়েছে উজিরপুর মডেল থানা পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মোঃ জিয়াউল আহসান বলেন বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় বাসুদেব চক্রবর্ত্তী টুনুর মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল মর্গে পাঠানোা হয়েছে এবং মিতু ভাংরাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে মামলার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান তিনি। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার হারতা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রয়াত নারায়ন চক্রবর্তীর ছেলে ও ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নিখিল চক্রবর্ত্তীর ভাই দু’ সন্তানের জনক ব্যবসায়ী বাসুদেব চক্রবর্তী টুনু(৪৫) বিষপান করে মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফট করছে বলে ২৫ জুন শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ২ টার দিকে ০১৭৬৮৯১৩৫৫৪ নম্বর দিয়ে মহিলা কন্ঠে ফোন করে স্থানীয় হারতা বাজারের ডাঃ নগেন্দ্রনাথ হালদারকে জানানো হয়। গভীর রাত হওয়ায় তিনি ওই রোগীকে তার চেম্বারে নিয়ে আসতে বলেন। এর কিছুক্ষন পরে জামবাড়ী এলাকার মৃত সিব ভাংরার ছেলে উত্তম ভাংরা(৫২) ফোন করে বিষয়টি ওই এলাকার চৌকিদার গৌতম বাড়ৈকে জানান। সে তাৎক্ষনিক ভাবে ঘটনাস্থল পৌছে মূমূর্ষ অবস্থায় পরে থাকা বাসুদেব চক্রবর্ত্তী টুনুকে চিনতে পেরে তার পরিবারকে খবর দেয়। এরপর ইউপি সদস্য নিখিল চক্রবর্তী ঘটনাস্থল ছুটে এসে তার ভাই ব্যবসায়ী বাসুদেব চক্রবর্তী টুনুকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত হারতা বাজারে ডাঃ নগেন্দ্রনাথ হালদারের কাছে নিয়ে গেলে সেখানে ভোর সাড়ে ৪ টায় তাকে মৃত বলে ঘোষনা করা হয়। খবর পেয়ে ২৬ জুন শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে ছুটে যান উজিরপুর মডেল থানার ওসি জিয়াউল আহসান। তিনি লাশ উদ্ধার ও মৃত্যু রহস্য উৎঘাটনে জিঙ্গাসাবাদের জন্য উত্তম ভাংরার বোন মিতু ভাংরা(৩৫)কে আটক করে থানায় নিয়ে যান। স্থানীয়রা জানায় মিতু ভাংরার প্রথম বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী আগৈলঝাড়া উপজেলার পয়সারহাটের রামশীলের সঙ্গে। সেখানে তার ২টি সন্তান রয়েছে। সেখানে বিয়ে বিচ্ছেদের পরে ২য় বিয়ে হয় কুচিয়ারপার হিরো মল্লিকের সঙ্গে। সেখানেও তার একটি পুত্র সন্ত্রান রয়েছে। মিতু জামবাড়ি গ্রামের কালাম সরদারের বাড়ীতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন। পরিবার ও স্থানীয়দের দাবী মিতু ভাংরার সাথে পরকীয়া প্রেমের জেরেই তার ভাই বিজয় ভাংরা(৫২) ও উত্তম ভাংরা(৪২) মিলে ব্যবসায়ী বাসুদেব চক্রবর্ত্তী টুনুকে সুপরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে। উপজেলার হারতা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নিখিল চক্রবর্তী দাবী করেন তার ভাইকে সুপরিকল্পিতভাবে বিষ খাইয়ে হত্যা করে আত্মহত্যার অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
(ঊষার আলো-এমএনএস)