এম এন আলী শিপলু : বৃহস্পতিবার (১৩ মে) সন্ধ্যার আকাশে এক ফালি চাঁদ ওঠার মাধ্যমে মুসলমানদের মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার সমাপ্তি ঘটেছে। শুক্রবার (১৪ মে) পালিত হবে ইসলাম ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় আনন্দের উৎসব ঊদ-উল-ফিতর।
দেশব্যাপী চলছে মহামারী করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। উৎকণ্ঠার মধ্যে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। কিন্তু উদ্বেগের জায়গা রয়েছে অন্য জায়গাতে। করোনার ভয়াল থাবায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বিশাল অংকের এক শ্রেণির মানুষ, নিজেদের অস্তিত্ব টেকাতে রীতিমত করে যাচ্ছেন যুদ্ধ। সেসব অসহায় মানুষদের যুদ্ধে শামিল হয়ে তাদের মুখে হাসি ফোটাতে সাধ্যের সর্বোচ্চটুকু চেষ্টা করে যাচ্ছে অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
লকডাউনে অনেকেই চাকরি থেকে ছাটাই হয়েছেন। ব্যবসা বন্ধ, বাড়ির কর্তা আক্রান্ত বা আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক নিম্নবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত এমনকি অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারও রীতিমতো দিনের খাবার যোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছে। তাই ঈদুল ফিতর এবং ঈদ পরবর্তী পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে বিভিন্ন সংগঠনের অসংখ্য সদস্যরা তাদের মানবীয় চেতনার তাড়নায় নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। পুরো রমজান মাসজুড়ে ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষদের জন্য সেহরি এবং ইফতারের বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করেছেন।
প্রথম পর্যায়ে বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত সেহরি-ইফতার বিতরণসহ ঈদের মিষ্টিমুখের জন্য প্রয়োজনীয় সকল সামগ্রী অভাবগ্রস্থ পরিবারের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। তাদের এই ইফতার ও সেহরী বিতরণ কার্যক্রমে সরকার বিভিন্নভাবে সহায়তা করে। যেহেতু ঈদকে কেন্দ্র করে অনেক সমাজসেবী প্রতিষ্ঠান এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে, ঈদের পরবর্তী ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে ঈদ পরবর্তী সময়েও বেশকিছু কার্যক্রম রেখেছেন অনেকে।
জনউদ্যোগের খুলনা শাখার সদস্য সচিব মহেন্দ্র নাথ সেন জানান, কোভিড-১৯ মহামারির কঠোর সময়ে সকলের মানবিক ও সামাজিক কর্তব্য হতদরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কাছে নিজেদের যথাসম্ভব সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া। সেই লক্ষ্যে গত বছরের মত এ বছরও মহামারির কঠিন সময়ে সকল হতদরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাড়িয়েছে অনেক সংগঠন। তিনি আরও জানান, ঈদের পরবর্তী সময়ে যখন কি না দেশের অর্থনীতিক অবস্থার অবনতি ঘটবে, অনেক মানুষ কষ্টের সাথে দিন কাটাবে, তখন নিম্ন-বিত্ত, মধ্যবিত্তসহ সকল মানুষের কাছে নিজেদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য সমাজের বিত্তবানসহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
(ঊষার আলো-এমএনএস)