UsharAlo logo
শনিবার, ১১ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

এলডিসি থেকে উত্তরণ: উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় আরেও একধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

usharalodesk
জুন ২৩, ২০২১ ৯:০০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আব্দুল্লাহ শিবলী সাদিক : গত ২৬ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে চূড়ান্ত সুপারিশ করে। ফলে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে ঘোষণা দেয়ার পথে আর বাঁধা থাকলো না। এর মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সূচিত হলো এক নবদিগন্ত। এই যাত্রা শুরু হয়েছিলো ২০১১ সালে জাতিসংঘের চতুর্থ এলডিসি সংক্রান্ত সামিটে। সেই সম্মেলনেই এলডিসি থেকে উত্তরণে ‘ইস্তাম্বুল প্ল্যান অব অ্যাকশন’ গৃহীত হয়। সম্মেলন শেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করতে কর্মপন্থা নির্ধারণ করেন – সেই ধারাবাহিকতায়ই আজকের এই অর্জন।

সিডিপি’র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা- এ তিনটি সূচকের দু’টিতে উত্তীর্ণ হলে এবং পরপর দুইটি পর্যালোচনায় এই মানদণ্ড ধরে রাখতে পারলে কোন দেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের যোগ্য বলে বিবেচিত হয়৷ এক্ষেত্রে, অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকে ৩২ পয়েন্ট বা এর কম, মানবসম্পদ সূচকে ৬৬ পয়েন্ট বা এর বেশি এবং মাথাপিছু আয় কমপক্ষে ১ হাজার ২২২ ডলার হতে হয় (২০২১ সালে নির্ধারিত মানদণ্ড অনুযায়ী)। প্রতি তিন বছর পর যোগ্যতা পর্যালোচনা করা হয়। তবে শুধু মাথাপিছু আয়ের ভিত্তিতেও কোন দেশ এলডিসি উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করতে পারে, সেক্ষেত্রে ঐ দেশের মাথাপিছু আয় সিপিডি’র মানদণ্ডের দ্বিগুণ হতে হবে৷ এটা অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে ২০১৮ সালের মত ২০২১ সালেও বাংলাদেশ তিনটি সূচকেই যোগ্যতা ধরে রেখেছে, যা পূর্বে অন্য কোনো দেশের ক্ষেত্রে ঘটেনি। নিয়মানুযায়ী সিডিপি’র চূড়ান্ত সুপারিশের তিন বছর পর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে এলডিসি থেকে উত্তরণের চূড়ান্ত ঘোষণা দেয়া হলেও কোভিড-১৯ এর প্রভাব মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশ আরো দুই বছর বেশি সময় পাবে। অর্থাৎ ২০২৪ সালের পরিবর্তে ২০২৬ সালে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে।
এলডিসি থেকে উত্তরণের ফলে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে আরো মর্যাদাশীল জাতি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথ উন্মোচিত হলো। বিশ্বের প্রতিটি দেশ এখন বাংলাদেশকে আরো সম্ভ্রমের চোখে দেখবে, পাশাপাশি সমীহ করবে- যা এদেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য অত্যন্ত গর্বের। উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত হওয়ায় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দেশের ভাবমূর্তির আরো বৃদ্ধির পাশাপাশি বিশ্বদরবারে বিভিন্ন দরকষাকষিতে বাংলাদেশের অবস্থান আরো শক্ত হবে। এছাড়া ভাবমূর্তি উন্নয়নের ফলে বৈদেশিক ঋণ পাওয়াও সুবিধাজনক হবে। যেসব দেশ এখন পর্যন্ত স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের প্রায় প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ বেড়েছে। সাধারণত উন্নয়নশীল দেশের শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তির কারণে বিদেশী বিনিয়োগকারীরাবিনিয়োগে আস্থা পায়। তাই উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবার ফলে বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ আরো বৃদ্ধি পাবে এবং নতুন শিল্প-কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে ব্যাপক শিল্পায়ন হবে বলে আশা করা যায়। এতে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা প্রবাহের ফলে একদিকে যেমন আমাদের রিজার্ভ আরো শক্তিশালী হবে, অন্যদিকে বিপুল পরিমাণ কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে। যা দেশের বেকারত্ব সমস্যা দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। অনেক দেশের সঙ্গে নতুন নতুন ব্যবসা-বাণিজ্যের দ্বারও উন্মুক্ত হবে।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে- রপ্তানি বাণিজ্যে বিশেষ সুবিধা হারানো। স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে বাংলাদেশ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানিতে শুল্ক-সুবিধা ভোগ করে আসছে। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলে বাংলাদেশ এই অগ্রাধিকার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে। শুল্কমুক্ত সুবিধা না থাকলে প্রতিযোগিতাও বেড়ে যাবে৷ এলডিসি থেকে উত্তরণ ঘটার তিন বছর পর থেকে
ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি (জেনারালাইজড সিস্টেম অব প্রিফারেন্স) সুবিধা থাকবে না। এতে রপ্তানিতে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। রপ্তানি আয় কমে গেলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। তদুপরি, উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলে বিদেশী আমাদানিকারকরা আমাদের দেশের শিল্প-কারখানার কর্ম-পরিবেশ উন্নয়নে জোর দিবে। সেক্ষেত্রে পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।এলডিসি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর আরো তিন বছর পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘এভরিথিং বাট আর্মস’ উদ্যোগের আওতায় পণ্য রফতানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া যায়, যা আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক।
অন্যদিকে, স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে বৈদেশিক ঋণ প্রাপ্তিতে যেসব বাড়তি সুযোগ রয়েছে সেগুলোও হারাতে হবে। ফলে, বৈদেশিক অনুদান, কম সুদের ঋণ কমে আসবে। এতে বৈদেশিক ঋণের ব্যয় বেড়ে যাবে। তবে, দেশের অভ্যন্তরীণ সক্ষমতাও রেমিট্যান্সপ্রবাহ বৃদ্ধির ফলে বৈদেশিক সাহায্যের উপর নির্ভরশীলতা অনেক কমে গেছে। তাই, বৈদেশিক ঋণ প্রাপ্তির বিষয়ে বাংলাদেশের শঙ্কিত হওয়ার মত কিছু নেই। কিন্তু, সহজ শর্তে বৈদেশিক ঋণ না পাওয়ায় বৈদেশিক অনুদাননির্ভর এনজিওগুলোর অর্থ সংকট দেখা দিতে পারে। স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীরা বিদেশী ফেলোশিপ, স্কলারশিপ, প্রশিক্ষণ, আন্তর্জাতিক জার্নালে নিবন্ধ ছাপানোর প্রকাশনা ফি প্রদানের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়সহ নানাবিধ সুবিধা পেয়ে থাকে। কিন্তু, উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পর বিদেশে উচ্চশিক্ষা প্রত্যাশীরা প্রাথমিক পর্যায়ে কিছুটা বাধার সম্মুখীন হতে পারে। এছাড়া, এলডিসিভুক্ত দেশ হিসাবে TRIPS (Trade Related Aspects of Intellectual Property Rights) এর আওতায় বাংলাদেশ প্রযুক্তিগত সহায়তা, প্রণোদনার পাশাপাশি মেধাস্বত্ব সংক্রান্ত বিষয়ে সুবিধা পায়। কিন্তু স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর ওষুধ রপ্তানির ক্ষেত্রে মেধাস্বত্ব সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক বিধিবিধানের যে অব্যাহতি রয়েছে, তা পাওয়া যাবেনা। এছাড়া ওষুধের কাঁচামাল আমদানিতে প্রাপ্ত শুল্ক-সুবিধাও হারাতে হবে, যা দেশের ওষুধ রপ্তানির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এলডিসি থেকে উত্তরণের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য গঠিত ফান্ড থেকেও বাংলাদেশ কোন সহায়তা পাবে না। তবে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় ‘জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠন করার ফলে এ সংক্রান্ত সমস্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশ বর্তমানে আত্মনির্ভরশীল।
সিডিপি’র সুপারিশের পর এখন বাংলাদেশ আসন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৌশলগত পরিকল্পণা নির্ধারণ করছে, যাতে ভবিষ্যতে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেশকে দ্রুত উন্নত বিশ্বে পরিণত করা যায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যেই মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে ২২ সদস্য বিশিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছেন। এই কমিটি সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জগুলো সনাক্ত করে সেগুলো সমাধানের পরিকল্পণা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে কাজ করবে।
আমাদের রপ্তানি খাতের একটি বড় অংশ মূলত: কয়েকটি নির্দিষ্ট পণ্যের উপর নির্ভরশীল। উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে শুল্কমুক্ত সুবিধা না পেলে এসব পণ্য রপ্তানিতে প্রতিযোগিতা বেড়ে যাবে৷ এজন্য প্রতিযোগিতা সক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে যেন শুল্কমুক্ত সুবিধা না থাকলেও অন্যান্য দেশের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা যায়। প্রতিযোগী দেশগুলোর সাথে টিকে থাকতে হলে স্বল্পমূল্যে উন্নতমানের পণ্য তৈরির সক্ষমতা অর্জন অত্যন্ত জরুরি। পাশাপাশি, রপ্তানি বহুমুখীকরণে গুরুত্ব প্রদান করা আবশ্যক। বিশেষ করে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য বা জিআই পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জিআই পণ্যগুলো যেহেতু শুধু এদেশেরই স্বকীয়তা বহন করে এবং নিজস্ব পণ্য হিসাবে স্বল্পখরচে উৎপাদন করা যায়, তাই অনন্য পণ্য হিসাবে বিশ্ববাজারে এসব পণ্য কম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হয়। জিআই পণ্য নিবন্ধনে বাংলাদেশ অত্যন্ত সাফল্যের সাথে এগিয়ে চলেছে। ইতিমধ্যে ইলিশ, জামদানি, খিরসাপাতি আম প্রভৃতি পণ্য দেশের নিজস্ব পণ্য হিসাবে বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছে এবং আরো উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পণ্য নিবন্ধণের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। সরকারের এই উদ্যোগ কোন নির্দিষ্ট পণ্যের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে রপ্তানি বহুমুখীকরণে সহায়তা করবে। রপ্তানি বৃদ্ধির পাশাপাশি আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে এনে প্রয়োজনীয় পণ্য নিজেরাই উৎপাদন করতে পারলে দেশের কারিগরি সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পথ সুগম হবে।
উন্নয়নশীল দেশের চ্যালেঞ্জ উত্তরণে দক্ষ মানবসম্পদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।এজন্য তরুণ সমাজকে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি ও প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন করে গড়ে তুলতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সরকারের উদ্যোগের কারণেই আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে, যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। এর ফলে ভবিষ্যতে প্রচলিত পণ্য রপ্তানিতে সাময়িক সমস্যা হলেও বৈদেশিক মুদ্রা প্রবাহে বড় ধরনের ক্ষতির প্রভাব সামাল দেয়া যাবে। যেহেতু, বাংলাদেশ বর্তমানে ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট’ এ অত্যন্ত সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে, তাই এই সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা সম্ভব। এসবের পাশাপাশি বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে অবকাঠামো উন্নয়নে অগ্রাধিকার দিয়ে সরকার কাজ করে চলেছে। এছাড়া ব্যবসা সহজীকরণ সূচকে এ বছরের মধ্যে কমপক্ষে ৩০ ধাপ উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে – যা দেশের প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
এলডিসি’তে অন্তর্ভুক্ত না থাকলে বাংলাদেশ উন্নত দেশগুলোতে অনেক ক্ষেত্রেই শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে না৷ এজন্য আমাদের আঞ্চলিক উদ্যোগগুলো আরো ফলপ্রসূ করার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন, যাতে পশ্চিমা দেশগুলোতে পণ্য রপ্তানি কমে গেলেও নিকটবর্তী দেশগুলোতে রপ্তানি বৃদ্ধি করা যায়। এক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক চুক্তি অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে। রপ্তানি আয় কমে গেলে যেন বৈদেশিক মুদ্রা প্রবাহ ব্যাহত না হয়, সেজন্য কারিগরিভাবে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করে বিদেশে চাকুরির ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং নতুন শ্রম বাজার খুঁজে বের করার বিকল্প নেই। সরকার এলক্ষ্যে গতানুগতিক দেশগুলোতে কর্মী প্রেরণ বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন শ্রমবাজারে কর্মী প্রেরণের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।ফলশ্রুতিতে সার্বিয়া, উজবেকিস্তান, পোল্যান্ড, আলবেনিয়া, সেশেলসসহ বিভিন্ন নতুন শ্রমবাজারে কর্মী প্রেরণ শুরু হয়েছে।
এলডিসি উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে আমাদেরকে উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে খুব বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। বরং আমাদের প্রাপ্তির তুলনায় ক্ষতির পরিমাণ হবে নগণ্য এবং সাময়িক। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সিডিপি’র এই স্বীকৃতি আমাদের সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সঠিক পথে এগিয়ে চলারই স্বীকৃতি। এই স্বীকৃতির ফলে আমাদের সামনে যেমন হাজারো সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে. তেমনি সেই পথ ধরে লক্ষ্যে পৌঁছানোর চ্যালেঞ্জও অনেক। তাই, সরকার এখনই সেই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার প্রস্তুতি গ্রহণ করছে, যাতে ২০৪১ সালের মধ্যেই দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করা যায়।
লেখক : জনসংযোগ কর্মকর্তা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
(ঊষার আলো-এমএনএস)