UsharAlo logo
রবিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কমফোর্টেবল তাপমাত্রা মিলবে গ্রী এসিতে

ঊষার আলো রিপোর্ট
এপ্রিল ২৬, ২০২৫ ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

দাবদাহ মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ আপনারা নিচ্ছেন?

নুরুল আফছার : অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমরাও যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। ক্রেতাকে যথাসময়ে পণ্য সরবরাহ এবং সেবা নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিটি পর্যায়ে জনবল বৃদ্ধি করেছি। দেশব্যাপী আমাদের পার্টনার ও ডিলারদের কাছেও যথেষ্ট পণ্য আছে। অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আমরা বাংলাদেশের আবহাওয়ার সঙ্গে মানানসই এসি তৈরি করছি। ফলে আমরা আশা করছি, গ্রাহকের অর্ডার প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গেই তাদের পণ্য সরবরাহ ও সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

এক বছরে এসির ব্যবহার কেমন বৃদ্ধি পেয়েছে?

নুরুল আফছার : প্রতিবছরই আমাদের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি বাড়ছে। যে কারণে এসির চাহিদাও বাড়ছে। কয়েক বছর ধরে প্রতিবছর এর ব্যবহার ৭-১০ শতাংশ হারে বাড়ছে। এ ছাড়া দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল বিদ্যুতায়িত হওয়া, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি, নগরায়ন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজার বেশি বিকশিত হচ্ছে।

আপনার কোম্পানির এসির কী কী বৈশিষ্ট্য ও সুযোগ-সুবিধা রয়েছে?

নুরুল আফছার : আমরা প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন প্রযুক্তি সংযোজন করছি। আমাদের আরঅ্যান্ডডি চায়নার সঙ্গে যৌথ প্রযুক্তি শেয়ারিংয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের এসি দেশের পরিবেশ এবং গ্রাহকের প্রয়োজনের সঙ্গে মানানসই করে প্রস্তুত করা হয়। সববিষয় গুরুত্ব দিয়ে গ্রী এসি উৎপাদন করা হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য আইফিল টেকনোলজি। এর মাধ্যমে যেমন বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে, তেমনি কমফোর্টেবল টেম্পারেচার মিলবে। যেমন বাইরে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি তাহলে আমার কমফোর্টেবল তাপমাত্রা আসলে কত এটি আমরা জানি না। যার কারণে কখনো ১৬, কখনো ১৮, কখনো ২০-এ আমরা টেম্পারেচার সেট করছি। আইফিল অপশন অটোমেটিক রুমে টেম্পারেচারকে কমফোর্ট করে দিবে। আমাদের রয়েছে বিশ্বের সর্বপ্রথম জি-বুস্ট ইনভার্টার কম্প্রেসার যার মাধ্যমে এসির স্থায়িত্ব বৃদ্ধি করার সঙ্গে সঙ্গে সর্বোচ্চ লেভেলের বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে। এ ছাড়াও একটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার কোল্ড প্লাজমা প্লাস ও হিউমিডিটি কন্ট্রোলার। এর মাধ্যমে রুমে বাতাসে যে ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু থাকে সেগুলোকে ৯৯.৯৯% পর্যন্ত ডিঅ্যাক্টিভ করে এবং হিউমিডিটি ব্যালেন্স করে। ফলে দীর্ঘ সময় এসির মধ্যে থাকলেও শরীরের স্ক্রিন শুষ্কতা থেকে রক্ষা করে, হাঁচি কাশিজনিত সমস্যা বা কোল্ড অ্যালার্জিজাতীয় সমস্যা হয় না। বর্তমান ঢাকা সিটির ওয়েদার মারাত্মকভাবে দূষিত হওয়ার কারণে আমরা আমাদের এসিতে ছয় স্তরের ফিল্টার যোগ করেছি। যার মাধ্যমে রুমের বাতাস থাকবে ৯৯.৯৯% পর্যন্ত বিশুদ্ধ। এ কারণেই প্রযুক্তিগত দিক থেকে আমাদের এসি বিশ্বের ২০০টিরও বেশি দেশে সমাদৃত।

কিস্তিতে আপনার কোম্পানির এসি কেনার সুবিধা আছে?

নুরুল আফছার : ৩৫টি ব্যাংকের ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডসহ নগদ এবং মাসিক ৩ থেকে ১৮ মাসের কিস্তিতে আমাদের বিভিন্ন শো-রুম, ডিসপ্লে সেন্টার, পার্টনার ও ডিলারদের মাধ্যমে পণ্য কেনার সুযোগ রয়েছে। আমাদের নিজেদের শো-রুম থেকেও কিস্তিতে পণ্য কেনা যাবে। এছাড়া জিপি স্টারসহ, রবি, বাংলালিংক গ্রাহকদের জন্য রয়েছে বিশেষ ছাড়।

আমদানি বিকল্প শিল্প হিসাবে স্থানীয় এসি প্রস্তুতকারকরা কেমন করছেন?

নুরুল আফছার : দেশে তৈরি এসি এবং বিদেশে তৈরি এসির মধ্যে কোনো ফারাক নেই। বরং দেশে তৈরি এসির ক্ষেত্রে দেশের আবহাওয়ার কথা এবং গ্রাহকদের প্রয়োজন বিবেচনা করা হয়। অন্যদিকে বিদেশে তৈরি এসি আমাদের দেশের আবহাওয়া নিয়ে চিন্তা করে না। আর গ্রী এসির কথা যদি বলা হয়, আমরা গ্রী এর সঙ্গে জয়েন্ট ভেঞ্চারে প্রযুক্তি শেয়ার করছি। বিদেশের মতোই আমাদের দেশে উৎপাদিত এসিগুলো একই রকম যন্ত্রাংশ এবং নিত্যনতুন প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি হচ্ছে।

এসির বর্তমান দরদাম সম্পর্কে কিছু তথ্য দিন।

নুরুল আফছার : গ্রী বাংলাদেশসহ বিশ্বে নাম্বার ওয়ান ব্র্যান্ড। ফলে আমাদের কাছে কাস্টমারের চাওয়া একটু বেশি। সেই দিক থেকে বিবেচনা করে আমরা ১০% পর্যন্ত ফ্লাট ডিসকাউন্ট দিচ্ছি। প্রকারভেদে এসির দাম ভিন্ন হয়। স্প্লিট এসির ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৪৫ হাজার থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার পর্যন্ত হয়ে থাকে।

আপনাদের বিক্রয়-পরবর্তী সেবা সম্পর্কে কিছু বলুন।

নুরুল আফছার : আমাদের ব্যবসার প্রথম এবং একমাত্র মূলমন্ত্র হচ্ছে গ্রাহকদের সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করা। এই জন্য বাংলাদেশে আমাদের প্রায় ৪৫০০ দক্ষ টেকনিশিয়ান কাজ করছে। এ ছাড়া আমাদের প্রতিনিয়ত ভাবনা থাকে কীভাবে সর্বনিম্ন ব্যয়ের মাধ্যমে সর্বোত্তম বিক্রয়পরবর্তী সেবা নিশ্চিত করা যায়। আমরা ইনভার্টার এসির কমপ্রেসারে দিচ্ছি ১০ বছরের ওয়ারেন্টি এবং নন-ইনভার্টারে ৫ বছরের ওয়ারেন্টি, অন্যান্য পার্টসের ১ বছরের ওয়ারেন্টি এবং ১ বছরের আফটার সেলস সার্ভিস। এক বছরের মধ্যে আমরা গ্রাহককে একটি ফ্রি সার্ভিস দিয়ে থাকি। সেই সঙ্গে আমাদের রয়েছে হান্টিং নাম্বার ১৬৬৪৯ কল সেন্টার সেবা। আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি।

ঊষার আলো-এসএ