খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এ দিকে সকাল ১০টায় নগরীর শিববাড়ি মোড়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, দ্যা রেড জুলাই, ইনকিলাব মঞ্চসহ কয়েকটি সংগঠন।
মঙ্গলবার নিজেদের ফেসবুক পেজে তারা এসব কর্মসূচি ঘোষণা করে।
এদিকে বুধবার সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সি. আর. আবরার কুয়েটে গিয়েছেন বলে জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।এর আগে মঙ্গলবার কুয়েটে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন শিক্ষা উপদেষ্টা। এ সময় উপদেষ্টা কুয়েটের আন্দোলন ও অনশনরত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা উষ্ণ আবহাওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়বেন এবং তাদের শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে অনশন প্রত্যাহার করার অনুরোধ করছি।’
এ দিকে কুয়েট পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) প্রতিনিধি দলে রয়েছেন, ইউজিসি’র সদস্য অধ্যাপক ড. তানজীম উদ্দিন খান, সদস্য সচিব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এবং কমিটির সদস্য ও ইউজিসি’র সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমান।
প্রসঙ্গত, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে শতাধিক আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
গত ১৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় ১০১তম সিন্ডিকেট সভায় ১৮ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সময় আগামী ৪ মে একাডেমিক কার্যক্রম এবং ২ মে হল খুলে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার ও হল খুলে দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেন শিক্ষার্থীরা।
গত ১৫ এপ্রিল দুপুরে ছাত্রদের ছয়টি হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন এবং সোমবার বিকাল ৪টা থেকে ৩২ শিক্ষার্থী উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদের অপসারণের এক দফা দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেন।
ঊষার আলো-এসএ