শেখ বদরউদ্দিন ফুলবাড়ীগেট (খুলনা): খানজাহান আলী থানা এলাকার মার্কেট বিপণিবিতান গুলোতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা।
ঈদের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের ভিড় বাড়ছে বিপণিবিতানগুলোতে। বেচা-বিক্রি ভালো হওয়ায় দোকানিরা দিনরাত খোলা রাখছেন দোকানগুলো।
দোকানিরা জানিয়েছেন, দুই বছর পর এবার ঈদ আনন্দে মেতে উঠবে। এবার নিত্যনতুন পাঞ্জাবির পাশাপাশি মেয়েদের বিভিন্ন দেশি-বিদেশি শাড়ি, থ্রি-পিস ও বিভিন্ন ডিজাইনের কামিজ ক্রেতাদের আকর্ষণের মূল তালিকায় রয়েছে।শিরোমনি কেডিএ মার্কেটের আরাফাত ক্লথ স্টোরের প্রোপাইটার মোঃ রবিউল বলেন, ঈদ মানে আনন্দ, আর এই আনন্দটাকে ভাগাভাগি করতে বিভিন্ন বিপণিবিতানগুলোতে ভিড় করতে শুরু করেছে ক্রেতারা। ঈদে বেশি আনন্দ করে ছোট সোনামনিরা, তাদের পছন্দের কথা মাথায় রেখে বাহারি সব পণ্য নিয়ে বসেছে দোকানিরা। তাদের বেচা বিক্রি এবার ভালো হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, গত দুই বছর ঈদ আনন্দ কি সেটা ভুলতে বসেছিল । প্রথম রোজার দিকে কেনাকাটা না জমলেও এখন বেচাকেনা হচ্ছে। ঈদের আগ পর্যন্ত বিক্রি আরও বাড়তে পারে।
শিরোমনি বৈশাখী মার্কেট, কেডিএ মার্কেট, ফুলবাড়ীগেট আলতাফ প্লাজা, ফুলবাড়ীগেট বাজার মার্কেট সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, নারী-পুরুষের উপচে পড়া ভিড়। গজ কাপড়, থ্রি-পিসের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। আলতাফ প্লাজার কাপড় ব্যবসায়ি কাকন আলী বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে আমাদের দোকানে ভারতীয় শার্ট, প্যান্ট, টি শার্ট আনা হয়েছে। এখানে সব শ্রেণির কথা মাথায় রেখে বাজেটের বিবেচনা করে সর্বনিম্ম টাকায় কিনতে পারবেন। এবার গরম বেশি হওয়া টিশার্টের ওপর আগ্রহ বেশি ক্রেতাদের।
শিরোমনি বাজার বনিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আজাদুর রহমান হিরোক বলেন, ঈদ ঘিরে সবগুলো বিপণিবিতানগুলোর দোকানিরা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। কোয়ালিটি ঠিক রেখে শাড়ি, পাঞ্জাবি, থ্রি-পিসসহ নানা কাপড় দিয়ে দোকান সাজিয়েছেন দোকানিরা। আমি আশা করছি গত দুই বছরের লোকসান কাটিয়ে উঠবে। ঈদের আগ পর্যন্ত ভালো বেচাকেনা হবে।খানজাহান আলী থানা অফিসার ইনচার্জ প্রবীর কুমার বিশ্বাস বলেন, ঈদকে সামনে রেখে প্রতিটা বিপণিবিতানগুলোর সামনে ক্রেতা বিক্রেতাদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সাদা পোশাকে পুলিশ রয়েছে।
(ঊষার আলো-এফএসপি)