UsharAlo logo
রবিবার, ১২ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খালিশপুরে স্ত্রীর ধারালো অস্ত্রাঘাতে ক্ষত-বিক্ষত স্বামী

koushikkln
নভেম্বর ২৯, ২০২২ ১০:১০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক: স্ত্রীর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করেছে হাসিব মোল্লা(২৮) নামের একজন দিন মজুরকে। খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে তিনি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। স্ত্রীর পরকীয়ায় বাঁধা দেয়ায় গত ২৫ নভেম্বর ভোর রাতে নগরীর খালিশপুর আলমনগর রুলিং মিল মসজিদ সংলগ্ন জনৈক খলিল সাহেবের বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার বিকেলে হাসপাতালের বেডে শুয়ে তিনি কাতরাচ্ছিলেন। তার বোন শাকিলা জানান, গত প্রায় পাঁচ বছর আগে তার ভাই হাসিবের সাথে বাগেরহাট কলমিবুনি শাখারকাটি গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম নজুর মেয়ে নাজমা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তারা সপরিবারে খালিশপুর আলমনগরে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। ইতোমধ্যে তারা তাসকিন নামের এক সন্তানের জনক হন। ওই শিশুর বয়স এখন দেড় বছর। সম্প্রতি হাসিব একটি মামলায় কারাগারে যান। এ সুযোগে তারই ঘনিষ্ঠজনের সাথে নাজমার অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জেলখানা থেকে ছাড়া পাওয়ার পর নাজমা নানা অজুহাতে ঘন্টার পর ঘন্টা ওই নিকটজনের কাছে গিয়ে সময় কাটায়। বিষয়টি হাসিব বারবার নিষেধ করলেও স্ত্রী নাজমা কর্ণপাত করেননি। এক পর্যায়ে নাজমা রাতে হাসিবকে গোপনাঙ্গ চেপে ধরে হত্যার চেষ্টায় করে। কিন্তু সে ব্যর্থ হয়। এ ঘটনার পর হাসিব খালিশপুর থানায় জিডি করেন। জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা স্বামী-স্ত্রীকে মিলিয়ে দেন। আবারো তারা সংসার শুরু করেন। কিছু দিন যেতে না যেতে নাজমা আবারো পূর্বের মত পরকীয়া শুরু করে। হাসিব বাঁধা দিলে সে খারাপ আচরণ করে।

তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ নভেম্বর রাত ৯টার দিকে নাজমা তার কোলের সন্তানকে হাসিবের নিকট রেখে পরকীয়ায় মেতে ওঠে। হাসিব তাকে অনেক জায়গায় খুঁজে না পেয়ে বাসায় ফিরে আসে। অনেক রাতে নাজমা ঘরে ফিরে আসে। হাসিব কারণ জিজ্ঞাসা করতেই সে খারাপ আচরণ করে। এ সময় হাসিব সংসার টিকিয়ে রাখার স্বার্থে গোলমাল না করে সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। যখন হাসিব ঘুমে বিভোর তখন নাজমা ঘর থেকে ধারালো দা দিয়ে ঘুমন্ত হাসিবকে মুখে ও মাথায় একে পর এক কোপাতে থাকে। হাসিবের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এলে ভয়ংকর নাজমা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসিবের মাথা ও মুখে পাঁচটি কোপ লেগেছে। তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তিনি এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। ঘটনার পর খালিশপুর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। তা এসআই অমিত কুমার গ্রহণ করলেও এখনও পর্যন্ত বিষয়টি খোঁজ নিতে হাসপাতালে পুলিশ আসেনি বলে তিনি জানান।