খুলনায় উৎসব মুখর পরিবেশে উদযাপিত হচ্ছে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিটে নগরীর ব্যাপ্টিস্ট ও ক্যাথলিক চার্চগুলোতে কেক কাটা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। আজ বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে প্রার্থনার পর শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্য দিয়ে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকেরা দিনটির অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা উদযাপন করছেন। এ সময় তারা দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করেন।
খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, মহানগর ও জেলার ১২৬টি চার্চে বড় দিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। জেলার প্রধান প্রধান চার্চগুলো হচ্ছে- সেন্ট জোসেফ ক্যাথির্ডাল চার্চ, সোনাডাঙ্গা ব্যাপ্টিস্ট চার্চ, সেন্ট মেরিস ক্যাথলিক চার্চ, চার্চ অব বাংলাদেশ মতিয়াখালী, কলভেরি চার্চ, মহেশ্বরপাশা ব্যাপ্টিস্ট চার্চ, মতিয়াখালী ব্যাপ্টিস্ট চার্চ, গল্লামারী এজি চার্চ, রূপসার তিলক এজি চার্চ, বটিয়াঘাটার জলমা এজি চার্চ, বয়ারডাঙ্গা এজি চার্চ, দীঘলিয়ার সেনহাটি ব্যাপ্টিস্ট চার্চ, কয়রার আমাদী ক্যাথলিক চার্চ, ফুলতলার আটরা ক্যাথলিক চার্চ, ডুমুরিয়ার শোভনা মেথোডিষ্ট চার্চ, বরুনা এজি চার্চ, মিস্কিমিল ব্যাপ্টিস্ট চার্চ, চুকনগর ক্যাথলিক চার্চ, পাইকগাছার চাঁদখালী ও লক্ষীখোলা চার্চ, দাকোপের চুনকুড়ি, লাউডোব, বাজুয়া ব্যাপ্টিস্ট চার্চ, কালীনগর ক্যাথলিক চার্চ।
এদিকে চার্চগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ ও র্যাব সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
উল্লেখ্য, দুই সহস্রাধিক বছর আগে এই দিনে জেরুজালেমে যিশুখ্রিস্ট জন্ম গ্রহণ করেন। শত শত বছর ধরে বিশ্বের খ্রিস্টান সম্প্রদায় উৎসবমুখর পরিবেশে বড়দিন উদযাপন করে আসছেন। হিংসা-বিদ্বেষ, অন্যায়-অত্যাচার ও পাপাচারে নিমজ্জিত মানুষকে সুপথে আনার জন্যই যিশু আবির্ভূত হয়েছিলেন। তিনি সারাজীবন আর্তমানবতার সেবা, ত্যাগ ও শান্তির আদর্শ প্রচার করেছেন। হিংসা-দ্বেষ ভুলে তিনি সবাইকে শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবতার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। শাসকের অন্যায় ও অবিচারের বিরদ্ধে তিনি শোষিত, বঞ্চিত ও নির্যাতিত মানুষের পক্ষ নিয়েছিলেন। এ কারণে তিনি শাসকের নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন এবং মাত্র তেত্রিশ বছর বয়সে ক্রুশবিদ্ধ হন।
ঊ/আ-এইচআর