UsharAlo logo
সোমবার, ১৮ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনার উন্নয়নে নীতির প্রশ্নে সকলকে এক থাকতে হবে : সিটি মেয়র

pial
নভেম্বর ৮, ২০২২ ৪:৫১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : বিশ্ব নগর পরিকল্পনা দিবস উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সকাল ১০টায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) খুলনা চ্যাপ্টারের আয়োজনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউআরপি লেকচার থিয়েটারে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক।

তিনি বলেন, আমরা শহরে বাস করি। এই শহর রক্ষার দায়িত্বও আমাদের। নিজেরা যদি নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করি তাহলে বসবাসযোগ্য নগরী গড়ে তোলা সম্ভব। তিনি আরও বলেন, আমরা খুলনাকে পরিবেশসম্মত একটি তিলোত্তমা নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

সিটি মেয়র বলেন, খুলনার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ১৮শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। এই অর্থের যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। করোনা মহামারীর কারণে অনেক কাজ বন্ধ ছিলো। ইতোমধ্যে খুলনা শহরজুড়ে ড্রেন ও সড়ক উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে। চলতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যে নগরীর ৩৫০টি সড়কের কাজ শেষ করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, খুলনার উন্নয়নে নীতির প্রশ্নে সকলকে এক থাকতে হবে। যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা, বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের সংযোগ ড্রেনের সাথে দেওয়া, ফুটপাথ দখল করাসহ এ ধরনের কাজ থেকে নগরবাসীকে বিরত থাকতে হবে।

তিনি বলেন, পরিকল্পনাবিদদের পরিকল্পনা মেনেই বাড়ি-সড়কসহ অন্যান্য উন্নয়নকাজ সম্পন্ন করতে হবে। শুধুমাত্র ড্রেনের উন্নয়ন নয়, শহর থেকে পানি নামার স্থান নির্ধারণ করতে হবে। তাহলে জলাবদ্ধতা দূর করতে হবে। এসব কাজ সম্পন্ন করতে পারলে বাস্তব অর্থে আমরা একটি পরিবেশ ও স্বাস্থ্যসম্মত সুন্দর নগরী গড়ে তুলতে পারবো।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আগামী প্রজন্মের যারা নেতৃত্ব দিবেন তাদের এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে। মানুষকে সচেতন করতে হবে। ভালো কাজে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
গবেষণার মাধ্যমে খুলনার উন্নয়নে কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকলে তা সিটি মেয়র অথবা সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে সরবরাহ করার জন্য তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানান। একই সাথে তিনি সুন্দর প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে খুলনার বিদ্যমান সমস্যা ও সমাধানের বিষয়ে তথ্য তুলে ধরায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকারী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেন, আমাদের মমত্ববোধের ওপরে বিচারিক বোধকে গুরুত্ব দিতে হবে। আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। খুলনার উন্নয়নের নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হতে হবে এবং দায়িত্ব পালন করতে হবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম মিরাজুল ইসলাম, খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ, বিআইপির প্রেসিডেন্ট পরিকল্পনাবিদ ফজলে রেজা সুমন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম ও ব্রাকের ইউডিপির সিনিয়র রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর আবু জাফর মাহমুদ।

বিআইপি খুলনা চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট পরিকল্পনাবিদ আবির উল জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইপি খুলনা চ্যাপ্টারের সেক্রেটারি মো. ইকবাল আহমেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. আহসানুল কবির। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন একই ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. ফৌজিয়া ফারজানা।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য সেরা পরিকল্পনাবিদদের সম্মাননা জানানো হয়। এর আগে দিবসটি উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে ৯টায় সিটি মেয়রের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিআইপির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

(ঊষার আলো-এফএসপি)