ঊষার আলো প্রতিবেদক : কোনটি স্বর্ণ, কোনটি রৌপ্য, তামা, ব্রোঞ্জ, আবার আছে কাগুজে, পলিমার এমন কী হাল আমলের হাইব্রিড পলিমার। এসব কিছুই আড়াই বছর আগে আসা মুদ্রার রকমফের। এইসব মুদ্রার সাথে বিলুপ্ত দেশের মুদ্রা, রঙিন মুদ্রা, রৌপ্য নির্মিত ছিদ্রযুক্ত (ফুটো) , ঐতিহ্য ও কৃষ্টির ছবিযুক্ত নোট, বাংলাদেশের ক্রটিযুক্ত, একই সিরিয়ালযুক্ত নোট, প্রথম ও শেষ সিরিয়ালের নোট দেখলো খুলনার নতুন প্রজন্ম ও সাধারণ মানুষ।
শনিবার (০৩ এপ্রিল) নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি খুলনায় দিনব্যাপী মুদ্রা প্রদর্শনীতে এমন সুযোগ পান তারা। সৌখিন সংগ্রাহক মো. রবিউল ইসলাম ও শেখ আহমেদ সাফা এ প্রদর্শনীতে অংশ নেন। প্রদর্শনীতে আড়াই হাজার বছর আগের মোর্য্য আমলের অর্থাৎ গ্রীক ভারত, কুষান সা¤্রাজ্য, গুপ্ত সা¤্রাজ্য, সুলতানী, মোঘল আমল থেকে হাল আমল পর্যন্ত মুদ্রা সংগ্রাহক রবিউল ইসলামের। রবিউল ইসলাম বর্তমানে বসুন্ধরা গ্রুপের বিভাগীয় প্রধান (হিসাব) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। সংগ্রাহক আহমেদ সাফার প্রদর্শনীতে ছিল দেশের স্বাধীনাত্তোর মুদ্রা ও বিজ্ঞান-বিজ্ঞানী।
মুদ্রা সংগ্রাহক মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মানুষের সাথে মুদ্রার পরিচয় করিয়ে দিতে চাই। অনেকেই বিভিন্ন মুদ্রার কথা শুনেছেন বা পড়েছেন। এখানে সেটি দেখার সুযোগ পেয়েছেন। বিশেষ করে তরুন প্রজন্ম এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে সৌখিন সংগ্রাহক হতে আগ্রহী হবে। আমরা অতীতের সাথে বর্তমানের একটি সেতু তৈরী করতে চাই।’
রবিউল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমার সংগ্রহে মোর্য্যযুগ থেকে বর্তমানের মুদ্রা রয়েছে। প্রতিটি সংগ্রহের পিছনে রয়েছে একেকটি গল্প। যা আমকে নতুন সংগ্রহে উৎসাহিত করেছে। তরুনদের এসব কাজে এগিয়ে আসতে হবে।