UsharAlo logo
মঙ্গলবার, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাকরি ফেরত ও বকেয়া বেতনের দাবিতে ২১১ আউটসোর্সিং কর্মচারীর সংবাদ সম্মেলন

usharalodesk
মে ২, ২০২১ ১০:০৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : খুলনা জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের ২১১ জন আউটসোর্সিং কর্মচারী চাকরি ফেরত, বকেয়া বেতন পরিশোধসহ স্বাস্থ্য খাতের নানা অনিয়ম নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে। রবিবার (২ মে) দুপুর ১২টায় খুলনা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আউটসোর্সিং কর্মচারীদের পক্ষে হাসিবুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সম্প্রতি বিদায় নেয়া খুলনার সিভিল সার্জন জনাব ডাঃ সুজাত আহমেদ আমাদেরকে জানিয়ে দেন যে, তোমাদের চাকরি নেই। এজন্য তিনি একটি অফিসিয়াল চিঠিও ইস্যু করেন। যদিও তিনি নিজেই আমাদের সেবা নিয়ে থাকেন। অন্যান্য সকল চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা আমাদের সেবা নেন। সর্বশেষ তৎকালিন সিভিল সার্জন আমাদেরকে নতুন ঠিকাদার কন্ট্রাক্ট ক্লিনিংয়ের মালিক ফারুক হোসেন হেমায়েতের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। কিন্তু ঠিকাদার ফারুক আমাদের ফোন রিসিভ করেন না। পক্ষান্তরে বিভিন্ন লোক মারফত আমাদের কাছে প্রস্তাব দেয়া হয় যদি চাকরিতে বহাল থাকতে হয় তাহলে মোটা অংকের অর্থ দিতে হবে। এজন্য কারও-কারও কাছে টাকার অংকও উল্লেখ করা হয়। বলা হয় আমাদেরকে যদি চাকরিতে বহাল থাকতে হয় তাহলে দুই লক্ষ করে টাকা দিতে হবে। আমাদের কাছে টাকা না পেয়ে তিনি আমাদেরকে বাদ দিয়ে বাইরের লোক নিয়োগ দিয়ে বিভিন্ন স্থানে পদায়ন দিচ্ছেন।
আরও বলেন, মেসার্স তাকবীর এন্ট্রারপাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২০১৯ সালের মে মাস থেকে আমরা ২১১ জন কর্মচারী নিয়োগ পাই। ২০২০ সালে জুলাই মাস পর্যন্ত বেতন দেয়া হয়। এরপর বেতন বন্ধ হয়ে যায়। এরই মধ্যে ঠিকাদার পরিবর্তনের গুঞ্জন শোনা যায়। তৎকালীন সিভিল সার্জন গোপালগঞ্জে বদলী হলে আমরা মনে করেছিলাম নবাগত সিভিল সার্জন আমাদের দিকে সদয় হবেন, আমাদের পরিবারের সদস্যদের দিকে তাকাবেন। কিন্তু বর্তমান ঠিকাদারের কাছে তিনিও যেন অসহায়। নতুন কন্ট্রাক্টরের সাথে ৩শ’ টাকা স্ট্যাম্পে নন জুডিশিয়াল চুক্তি করে অবৈধ নতুন নিয়োগ আউটসোর্সিং কর্মচারীদের বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে পদায়ন দিয়েছেন। গত ১৯ মার্চ তাদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও প্রশাসনিক অনুমোদন আনতে সক্ষম হননি। তারপরেও বর্তমান সিভিল সার্জন নতুন আউটসোসিং কর্মচারীদের আবার সময় দেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা তাদের পরিবারের দুদর্শা তুলে ধরে বলেন, আমরা আমাদের চাকরি ফেরত চাই, চাই বকেয়া বেতন। আমাদের বকেয়া বেতন দেয়া না হলে আমরা রাস্তায় বসতে বাধ্য হবো। সন্তানদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

(ঊষার আলো-এমএনএস)