UsharAlo logo
রবিবার, ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা: খালাস পেলেন খালেদা জিয়া

ঊষার আলো- ডেস্ক রিপোর্ট
নভেম্বর ২৭, ২০২৪ ২:০৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের দন্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারিক আদালতের রায়ে খালেদা জিয়ার ৭ বছরের কারাদন্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদন্ড আরোপ করা হয়েছিল। এই রায় বাতিল ঘোষণা করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ (২৭ নভেম্বর) বুধবার এ রায় দেন। ফলে এই মামলা থেকে খালাস পেলেন খালেদা জিয়া।
এর আগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য উদ্যোগ নেন তাঁর আইনজীবীরা। আপিল শুনানির পূর্ব প্রস্তুুতি হিসেবে মামলার পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) তৈরির জন্য অনুমতি চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদন ৩ নভেম্বর মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। এর ধারাবাহিকতায় গত বুধবার আপিল শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও কায়সার কামাল। খালেদা জিয়ার পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম, এ এইচ এম কামরুজ্জামান মামুন ও মাকসুদ উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। দুদকের পক্ষে আইনজীবী আসিফ হাসান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার।

 

পরে দুদকের আইনজীবী আসিফ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, খালেদা জিয়া ও অপর দুজনের করা পৃথক দুটি আপিল মঞ্জুর করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। তাঁদের খালাস দিয়েছেন আদালত।

 

অপর দুজন হলেন, হারিস চৌধুরীর তৎকালীন একাস্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম ও সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদ- ও ১০ লাখ টাকা অর্থদ- আরোপ করা হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে একই বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে বিচারিক আদালতের দেওয়া অর্থদণ্ডের আদেশ স্থগিত করেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা: খালেদা জিয়ার ৫ বছর বহাল ও ১০ বছর বাড়ানো সাজার রায় স্থগিত ১১ নভেম্বর ২০২৪

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা : খালেদা জিয়ার ৫ বছর বহাল ও ১০ বছর বাড়ানো সাজার রায় স্থগিত
এদিকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ৬ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দ- মওকুফ করে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে করা আপিল শুনানির পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে পেপারবুক তৈরির জন্য অনুমতি চেয়ে খালেদা জিয়া আবেদন করেন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে আপিলটি আজ আদালতের কার্যতালিকায় ওঠে। হাইকোর্টে ২০১৮ সালে খালেদা জিয়া আপিলটি করেন।

ঊষার আলো-এইচআর