বাংলাদেশে বর্তমানে সক্রিয় বড় ছাত্রসংগঠনগুলো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে অর্থের উৎস নিয়ে অভিযোগ পালটা অভিযোগের লড়াইয়ে নেমেছে। সম্প্রতি বিএনপির ছাত্রসংগঠন ছাত্রদল এবং জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত ছাত্রশিবির একে অপরের অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
সর্বশেষ গত সপ্তাহে ছাত্রশিবির ও নতুন দল এনসিপির আয়ের উৎস নিয়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের শীর্ষ নেতারা সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন তোলার পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।
ছাত্রদল এই প্রশ্ন তোলার পর এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ কেউ ছাত্রদলের অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্নও তোলেন।
সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে ছালদলের আয়ের উৎস নিয়ে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেছেন, ছাত্রদলের সেভাবে কোনো আয় নেই। সুতরাং আয় যদি না থাকে তাহলে উৎস বিষয়টা খুব বেশি প্রাসঙ্গিক বলে আমরা মনে করি না।
তিনি বলেছেন, ছাত্রদলের একক যে প্রোগ্রামগুলো হয়ে থাকে, সেগুলোতে সাবেক যারা দায়িত্ব পালন করেছেন, বা যারা ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন, দেশে-বিদেশে রয়েছেন তাদের থেকে সহযোগিতা নেওয়া হয়।
নাছির উদ্দিন আরও বলেছেন, ছাত্রদল বিএনপির সহযোগী সংগঠন। আমাদের প্রোগ্রামগুলো দুই ধাপে হয়ে থাকে। প্রথমটা হচ্ছে, অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে। অর্থাৎ বিএনপির যে প্রোগ্রামগুলোতে ছাত্রদল অংশগ্রহণ করে সেখানে বিএনপির পক্ষে থেকে কিছু পার্টিসিপেশন থাকে। এটি কোনো গোপন কিছু না, এটা প্রকাশ্যেই হয়ে থাকে। এর বাহিরে আমাদের অন্য যে প্রোগ্রামগুলো হয়ে থাকে যেখানে আর্থিক বিষয়গুলো সাবেক ছাত্রদলে নেতৃবৃন্দরা দেখে থাকেন।
তিনি বলেন, তবে এবার আমরা যে ফর্ম বিতরণ করেছি যেখানে প্রতিটা ফর্ম থেকে আমরা দশটা করে পেয়েছি। সেখান থেকেও আমাদের বড় অঙ্কের একটা টাকা আসবে। এর বাহিরে ছাত্রদলে তেমন কোনো নিজস্ব আয় নেই।
ঊষার আলো-এসএ