ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধি : শিরোমনি শিল্পাঞ্চলের ব্যক্তিমালিকানাধীন জুট স্পিনার্সের শ্রমিকদের শ্রম আইন মোতাবেক পাওনা পরিশোধের তাগিদ দিয়েছে খুলনা বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তর। জুট স্পিনার্সের ব্যাচিং বিভাগের শ্রমিক মুজিবর রহমান তার চুড়ান্ত পাওনা শ্রম আইন মোতাবেক না পেয়ে খুলনা বিভাগয়ি শ্রম পরিচালক এর দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায় মুজিবর রহমান জুট স্পিনার্স মিলের ব্যাচিং বিভাগের খ পালার ক্লিনার পদের একজন শ্রমিক হিসাবে ১৯৮৮ সালে যোগদান করে ১৯৯৮ সালে স্থায়ি হয়। ২০১৬ সালে মিলটির উৎপাদন বন্দ হয়ে গেলে মিল মালিকের নিকট তার ১৯৯৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ২৪ টি সার্ভিস পাওনা রয়েছে প্রায় ৩ বছরের সার্ভিস ছুটি ২০১৬ সালের পর থেকে বোনাস সার্ভিস ছুটি , মেডিকেল ছুটি, ক্যাজুয়াল এবং ৩৮ সপ্তাহের বিল পাওনা রয়েছে। ১৯৯৮ সাল থেকে শুরু করে মিলের উৎপাদন বন্দ হওয়ার আগ পর্যন্ত কল্যান তহবিল হিসাবে প্রতি সপ্তাহে ১৫ টাকা করে কর্তন করে মিল কতৃপক্ষ। ওই টাকাও সে ফেরত পাইনি বলে অভিযোগে উল্লেখ করে । এছাড়া ২ টি ঈদের বোনাস , প্রতিটি সার্ভিসে ২ টি গ্রাইচুটি থাকলেও ১ টি গ্রাইচুটি কম দিতে চাই মালিকপক্ষ , শ্রম আইন অনুয়ায়ি মালিক টাকা পরিশোধ না করে শ্রম আইন লংঘন করে তাদের হিসাব অনুযায়ি টাকা দিতে চাইলে মিল শ্রমিক মুজিবর রহমান সে টাকা নিয়ে শ্রম অধিদপ্তরে তার পাওনা টাকা বুঝে পাওয়ার জন্য লিখিত অভিযোগ করেন।
মুজিবুর রহমানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে খুলনা বিভাগীয় শ্রম পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান গত ২২ নভেম্বর সাক্ষরিত এক চিঠিতে জুট স্পিনার্স মালিক কতৃপক্ষকে মিলের শ্রমিক মুজিবর রহমানকে প্রতি বছরের চাকুরীর জন্য দেড়টার পরিবর্তে ২ টি করে গ্রাচ্যুইটির প্রাপ্যতা হিসাব করে তার চুড়ান্ত পাওনা পরিশোধ করে শ্রম দপ্তরকে অবহিত করার অনুরোধ করেছেন।
খুলনা বিভাগীয় শ্রম পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, ব্যক্তিমালিকানাধীন পাটকল শিল্প সেক্টরের জন্য সরকার কর্তৃক ২০১৩ সালের ২২ মে ঘোষিত নি¤œতম মুজুরীর গেজেটে মুজুরী এবং অনন্য পাওনাদী নির্ধারনের ১০ নং শর্ত হলো তফসিল উল্লেখিত নি¤œতম মুজুরী ও বিভিন্ন ভাতাদি ছাড়াও শ্রমিক ও কর্মচারীগন কর্মরত প্রতিষ্ঠানে উৎসবভাতা ও গ্রাইচুটি সহ অন্যান্য যে সকল সুযোগ সুবিধা ও ভাতা পেয়ে থাকেন তা বাংলাদেশ শ্রম আইন , ২০০৬ এ ধারা ৩৩৬ এর বিধান মোতাবেক বলবৎ ও অব্যাহত থাকবে। অর্থাৎ ব্যক্তিমালিকানাধীন পাট, শিল্প সেক্টরের জন্য সরকার কতৃক ২০১৩ সালের ২২ মে ঘোষিত নি¤œতম মুজুরীর গেজেটের ১০ নং শর্ত এবং বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এ ধারা ৩৩৬ এর বিধান মতে শ্রমিক কর্মচারীদের ভোগকৃত অধিকার বা সুযোগ সুবিধা ব্যহত বা ক্ষতিগ্রস্থ করা যাবেনা।
তিনি আরো বলেন, শুধু জুট স্পিনার্স নয় বেসরকারী সকল জুট মিলের শ্রমিক কর্মচারীদের শ্রম আইন মোতাবেক তাদের চুড়ান্ত পাওনা পরিশোধ করতে হবে, যদি কোন মালিক কারোর প্ররোচনায় পরে শ্রমিক ঠকানোর চিন্তা করে তাহলে অবশ্যই সে মালিককে আইনের আওতায় আনা হবে।