UsharAlo logo
শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রূপসা শ্মশান সংলগ্ন অবৈধ বসতি উচ্ছেদ

koushikkln
অক্টোবর ১০, ২০২৩ ১১:৩২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট: রূপসা শ্মশান সংলগ্ন সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত প্রায় ৯ শতক জমির অবৈধ দখল মুক্ত করছে খুলনা জেলা প্রশাসন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মৃত দেহ সৎকারের পর পয়নিস্কাশনের ড্রেন নির্মাণের জন্য এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এই অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দেন সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ-কেএমপি’র সহযোগীতায় দিনব্যাপী এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। দীর্ঘ দিন অবৈধ দখলে থাকা এই খাস জমিতে সিটি কর্পোরেশন ড্রেন নির্মাণের জন্য টেন্ডার আহবান করে। কিন্তু অবৈধভাবে একধিক বসতি থাকায় তা সম্ভব হচ্ছিল না। যেকারণে জেলা প্রশাসন এই অভিযান পরিচালনা করে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ফলে সিটি কর্পোরেশন অনায়াশে এখন ড্রেন নির্মান করতে পারবে। প্রায় এক মাস আগেই অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানের নোটিশ প্রদান করে জেলা প্রশাসন।
এবিষয়ে খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াছির আরেফীন বলেন, ‘মৃতদেহ সৎকার করার পর রূপসা শ্মশানের যে বর্জ্য তা নিষ্কাশনের জন্য সিটি কর্পোরেশন খাস জমিতে ড্রেন নির্মাণ করবে। যে কারণে দীর্ঘ দিন অবৈধ দখলে থাকা খাস জমি উচ্ছেদের জন্য অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দীর্ঘ দিনের দাবী ছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘নদীর তীরবর্তি যেকোন খাস জমিতে অবৈধ দখল থাকলে তা উচ্ছেদের জন্য হাই কোর্টের নির্দেশনাও রয়েছে।’
খুলনা মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার কুন্ডু বলেন, ‘দীর্ঘ দিন অবৈধ দখলে থাকায় রূপসা শ্মশানের পয়নিস্কাশন বিঘিœত হচ্ছিল। আমাদের দাবীর প্রেক্ষিতে খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল ও নব নির্বাচিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের চেষ্টায় খুলনা জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অবশেষে এই অবৈধ দখল মুক্ত করা হয়েছে।’ তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কওে বলেন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ, খুলনা সিটি কর্পোরেশন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে আমাদের দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণ হতে চলেছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের দীর্ঘ দিনের দাবীর প্রেক্ষিতে খুলনা সিটি কর্পোশেন ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। মৃত দেহ সৎকারের পরে যে জীবাশ্ম নদীতে যাওয়ার কথা সেটি বিঘিœত হতো। এখন সেখানে ড্রেন নির্মাণ হলে তাতে আর অসুবিধে হবে না।

ঊআ-বিএস