UsharAlo logo
বুধবার, ২৩শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হামলা-ভাঙচুরে পুলিশ কর্মকর্তার বিচার দাবি নগর বিএনপির

koushikkln
আগস্ট ২৫, ২০২২ ৪:৪৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : শাসকদলের ক্যাডার বাহিনী বিএনপি অফিস ভাঙচুর করে জনসমর্থনহারা ফ্যাসিবাদী সরকার দেউলিয়াত্বের পরিচয় দিয়েছে উল্লেখ খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংগঠন বিএনপি শান্তিপূর্ণ গণমুখি কর্মসূচিতে জনসমর্থনহারা ফ্যাসিবাদী সরকারের ক্যাডার বাহিনীর হামলা,
দৌলতপুর থানা বিএনপি কার্যালয় ভাংচুর ও তছনছের ঘটনায় নেপথ্যের ইন্ধনদাতা এসআই কামরুজ্জামানের অপসারন, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ ক্যাডারদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সকল অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জোর দাবি জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার ( ২৫ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় বিএনপি কার্যালয়ে খুলনা মহানগর বিএনপির উদ্যোগে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসী কর্তৃক দৌলতপুর থানা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ভাংচুর এবং নেপথ্যের ইন্ধনদাতা থানার সেকেন্ড অফিসার কামরুজ্জামানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আয়োজিত প্রেসব্রিফিং এ তিনি এ দাবি জানান।

প্রেসব্রিফিং এ তিনি বলেন, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী গত ২২ আগষ্ট থেকে সারাদেশে থানায় থানায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার (২৪ আগস্ট) দৌলতপুর থানা বিএনপির উদ্যোগে বিএল কলেজ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচি পালনের প্রস্ততি গ্রহণ করা হয়। বাঁধাহীনভাবে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে সহায়তা চেয়ে থানা বিএনপি নেতারা পুলিশ প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করেন এবং সার্বিক সহায়তা চান। সব কিছু ঠিকঠাকভাবে চললেও বুধবার সকাল থেকে পরিস্থিতি বদলে যেতে থাকে। বিএল কলেজ শাখা ছাত্রলীগ ও স্থানীয় যুবলীগের কতিপয় নেতাকর্মী বিভিন্ন ধারালো দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিএল কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়। তারা দফায় দফায় মহড়া দিতে থাকে এবং হামলা চালিয়ে বিএনপির কর্মসূচি পন্ড করে দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করে।

তুহিন আরো উল্লেখ করেন, ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পরে পুলিশ প্রশাসন তাদেরকে কোন প্রকার বাঁধাদান কিংবা নিবৃত করা চেষ্টা করেনি। বরং বিএল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও বর্তমানে দৌলতপুর থানা পুলিশের সেকেন্ড অফিসার কামরুজ্জামান নিজে উপস্থিত থেকে ছাত্রলীগ ক্যাডারদের হামলা করতে উস্কানি দেয়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত)’র ভূমিকাও ছিল তাদের পক্ষে। বিএনপির কর্মসূচিতে হাজার হাজার নেতাকর্মীর স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি দেখে ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনী ক্যাম্পাস ছেড়ে বাইরে আসতে সাহস পায়নি। বিএনপি নেতৃবৃন্দ সমাবেশ শেষ করে সমাবেশস্থল ত্যাগ করা মাত্র শতাধিক সশস্ত্র ছাত্রলীগ বিএল কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে এসে বিএনপি বিরোধী মিছিল ও উস্কানিমূলক শ্লোগান দিতে থাকে। তারা দলীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় স্থাপিত সমাবেশ মঞ্চ ও মাইক ভাংচুর করে। এরপর দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করে নির্বিচারে চেয়ার,
টেবিল, অন্যান্য আসবাবপত্র ভেঙ্গে তছনছ করে। লাঠিসোটা, রড ও রামদা নিয়ে হামলা চালানো সন্ত্রাসীদের ভাংচুর, চিৎকার ও গালিগালাজে সমগ্র এলাকায় চরমভাবে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

 প্রেসব্রিফিং এ উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমির এজাজ খান, সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পি, তারিকুল ইসলাম জহীর, আবু হোসেন বাবু, স ম আব্দুর রহমান, রেহানা ঈসা, কাজী মাহমুদ আলী, সের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, মাহবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, রুবায়েত হোসেন বাবু, কে এম হুমায়ুন কবির, সাজ্জাত হোসেন তোতন, মুর্শিদুর রহমান লিটন, একরামুল কবীর মিল্টন, শেখ ইমাম হোসেন, শরিফুল আনাম, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, আনসার আলী, তারিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান মিলটন, আলী আক্কাস, শামসুল বারি পান্না, সজীব তালুকদার, ইশতিয়াক হোসেন ইসতি, তাজিম বিশ্বাস, শরাফুল ইসলাম নুর প্রমূখ।