ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধি : খুলনায় মাদ্রসা ভেঙে বহুতল ভবননির্মাণের ঘটনায় মুসল্লিদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
মাদ্রাসার জমিদাতা দিঘলিয়া নিবাসী মো. আবুল বাসার মোল্লা জানান, মিয়াপাড়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা ও জমিদাতা তাঁর নানা মরহুম দেনাতুল্যা শেখ ও তার নানি মরহুমা আমেনা খাতুন এবং মোহাম্মদ আবুল বাশার মোল্লার দানকৃত ও নির্মিত খুলনা মহানগরীর ঐতিহ্যবাহী মিয়াপাড়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানাটি ভেঙে বেআইনিভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ এর পায়তারা করছে কিছু কুচক্রী মহল।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই জমির দাতা ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতা মরহুম দেনাতুল্লা শেখ, ১৯৭৭ সনে ওয়াকফ্মূলে জমি তাঁর নিজ নির্মিত মিয়াপাড়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার নামে প্রদান করেন,পরবর্তীতে একটি ওছিয়তনামা তৈরি করে যান, যাহাতে মাদ্রাসার পরিচালনা ও জমি জমা সংক্রান্ত সকল তথ্য প্রদান করা হয়। এছাড়াও একই ব্যক্তি খুলনার লবণচরা এলাকায় আরো একবিঘা জমি মাদ্রাসার নামে দান করিয়া যান। যা ওছিয়তনামায় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে। এছাড়াও পরবর্তীতে দাতা অর্থাৎ মরহুম দেনাতুল্লাহ শেখের স্ত্রী আমেনা খাতুন ও তাহার দৌহিত্র মোঃ আবুল বাসার মোল্লা তাদের মিয়াপাড়া অংশের জমি ও মাদ্রাসায় পৃথক পৃথকভাবে দানপত্র করেন। দীর্ঘদিন থেকে খুব সুন্দর পরিবেশে মাদ্রাসা পরিচালনা হয়ে আসছিল। কিন্তু ওইব্যক্তির ওয়ারেসগণের মধ্যে একজন নাম আয়শা খাতুন ও তাহার স্বামী আলী আহমেদ জামাল সুকৌশলে ভুয়া কাগজপত্র এর মাধ্যমে ২০০৯ সালে কেডিএ থেকে অবৈধভাবে প্লান পাশ করার প্রস্তুতি নেন। ঘটনা টি জানাজানি হলে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি ও জমির একমাত্র জীবিতদাতা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালে অবৈধ চেষ্টা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু হঠাৎ করে ওই দুই ব্যক্তি ২০২২ সালে কেডিএ কে ভুল তথ্য প্রদান করে বহুতল ভবনের প্লান পাস করিয়ে আনেন। তারা সময়ক্ষেপণ না করে মাদ্রাসা ও এতিমখানাটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসাটি সম্পূর্ণ ভেঙে সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ এর প্রস্তুতি চলছে। এবিষয়ে ওই মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারি মোঃ নজরুল সাহেবের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এর সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এই অবৈধ কাজের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করছেন। এলাকার সর্বস্তরের ধর্মপ্রান মুসল্লিগন মাদ্রাসাটি ভেঙে ফেলায় প্রতিবাদ ও প্রতিকার চেয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে এক বিবৃতি দেন।
তারা জানান, এই মাদ্রাসা টি ভেঙে ফেলার মানে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতির উপর আঘাত করা, ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণে বাধা প্রদান করা।