UsharAlo logo
শুক্রবার, ৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নতুন বাংলাদেশ গড়ার মধ্য দিয়ে শহিদদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে: পরওয়ার

ঊষার আলো রিপোর্ট
জানুয়ারি ২৮, ২০২৫ ১০:২২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে ফ্যাসিবাদ বিদায় নিয়েছে। ২ হাজার শহিদ ও ৪ হাজার আহতের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশ জন্ম দিয়েছে। তারা দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি দেখে যেতে পারেনি। নতুন বাংলাদেশ গড়ার মধ্য দিয়ে তাদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে। হাসিনা সরকার জোর করে সংবিধান থেকে ত্বত্তাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করেছিল। সে আইন, সংবিধানের তোয়াক্কা না করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছিল। এক পরিবার, একদল ও একব্যক্তির কথায় দেশ চলত।

সোমবার (২৭ জানুয়ারী) সাতক্ষীরার তালা উপজেলা জামায়াতের বার্ষিক কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তালা উপজেলা জামায়াতের আমীর মফিদুল্লাহর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলীর সঞ্চালনাায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মো. ইজ্জত উল্লাহ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ সহিদুল ইসলাম মুকুল, জেলা নায়েবে আমীর ডা. শেখ মাহমুদুল হক, জেলা সহকারী সেক্রেটারি গাজী সুজায়েত আলী।

তিনি বলেন, দেশ থেকে দখলবাজ, লুটেরা, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীদের বিতাড়িত করে সকলে মিলে নতুন বাংলাদেশ তৈরি করা জামায়াতে ইসলামের অঙ্গীকার। হাসিনা বিরোধীদের মতপ্রকাশের কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি। সে কারণে দেশ থেকে তাকে পালাতে হয়েছে। আমরা বিএনপি জামায়াত এক হয়ে গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রাম করেছি।

তিনি আরও বলেন, সংখ্যানুপাতিক ভাবে প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য ত্বত্তাবাধয়ক সরকারের কাছে আবেদন করেছি। এই পদ্ধতি চালু হলে ইচ্ছা মতো ক্ষমতা জাহির করা যাবে না। দেশে প্রকৃত গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে আসবে।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ১৪, ১৮ ও ২৪ সালের নির্বাচনে আমরা ভোট দিতে পারিনি। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও পুলিশলীগ মিলে জনগণকে ভোট কেন্দ্রে যেতে বাঁধা দেওয়া হয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গুম, খুন, হত্যা করেছে। বন্দি করে আয়না ঘরে রেখেছে। ২০০৬ সালে পল্টনে লগি বৈঠার দিয়ে মানুষ খুনের মাস্টার মাইন্ড ছিল শেখ হাসিনা। মূলত সেদিন থেকেই বাংলাদেশে গণতন্ত্রের হত্যা হয়ে ছিল। এর পর থেকে হাজার হাজার আলেম উলামাদের বন্দি, হত্যা, নিযাতন করা হয়েছে। এই সাতক্ষীরাতেও ৪০ জন ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, তালা-কলারোয়ায় শান্তিতে বসবাস করার জন্য আগামী সংসদ নির্বাচনে আপনাদের কাছে ত্যাগী, গুণী, সেরা ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য অধ্যক্ষ মো. ইজ্জত উল্লাহকে রেখে গেলাম। জামায়াতে ইসলামীতে হিন্দু ভাইদেরও যোগ দেওয়ার সুযোগ গঠনতন্ত্রে আছে। জামায়াতে ইসলামী শুধু মুসলমানদের দল নয়। হিন্দু, খ্রীস্টান, মুসলমান এক হয়ে এ দেশকে নতুন করে গড়তে হবে। ইসলামে অন্য ধর্মের লোক আমানত স্বরুপ। ইসলাম ধর্মে তাদেরও অধিকারের কথা বলা আছে।

ঊষার আলো-এসএ