নারায়ণণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও বন্দরে মালামাল লুট করে পালানোর সময় আটক ১১ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এরমধ্যে বন্দর উপজেলার তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর টোলপ্লাজা এলাকায় লুট করে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতার হাতে আটক হয় ৭ জন।
(৯ আগস্ট) বিকেলে মাইক্রোবাসে করে জনসাধারণের জিনিসপত্র লুট করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন তাদেরকে আটক করে এবং মাইক্রোবাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে সেনাবাহিনীর কাছে তাদেরকে সোর্পদ করে।
শুক্রবার রাতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রবিন মিয়া তাদেরকে ১৫ দিনের কারাদন্ড প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন—বন্দর উপজেলার রূপালী এলাকার সাহেব আলীর ছেলে মজিবর (৪২), একই এলাকার মৃত ওয়ালী মিয়ার ছেলে মো. কবির (৬৫), একই উপজেলার সালেহনগর এলাকার সৈয়দ সামসুউদ্দিনের ছেলে মাসুদ (৩৫), একই এলাকার মো, বাছেদ মিয়ার ছেলে মো. মিন্টু (৩৭), একই এলাকার আক্তার হায়দারের ছেলে মো. সুমন (৪০), নারায়ণ দত্তের ছেলে সুমন (৪৫) ও বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো. রুবেল (৩০)।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রবিন মিয়া বলেন, লুট করার সময় আটক সাতজনের প্রত্যেককে ১৫ দিন করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
এরআগে, বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে জালকুড়ি এলাকায় পুলিশ ফাঁড়ির মালামাল লুট করার সময় চারজনকে আটক করে স্কাউট সদস্যরা। পরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রবিন মিয়া তাদেরকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— নারায়ণগঞ্জের জালকুড়ি এলাকার দ্বীন ইসলাম, মো. সাকিল হোসেন ও সিদ্ধিরগঞ্জের নবী।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, বিভিন্ন জায়গায় দুস্কৃতিকারীরা হামলা, লুটপাট, ভাঙচুর করছে। এসব বন্ধ করার জন্য মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। এটি চলমান থাকবে।