মোঃ আব্দুল আজিজ, পাইকগাছা (খুলনা) : পাইকগাছায় ভাইরাস জনিত চোখ ওঠা রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। বর্ষা মৌসুমের শেষ এবং আবহাওয়া পরিবর্তন জনিত কারণে এ ধরণের ভাইরাস বৃদ্ধি পেয়েছে বলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎকরা জানিয়েছেন।
ছোট-বড় সব বয়সের মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে চোখ ওঠা রোগে। প্রায় প্রতিটি পরিবারেই রয়েছে চোখ ওঠা রোগী। আক্রান্তের হার বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে প্রতিষেধক ড্রপ এর চাহিদা। ফলে বাজারে সংকট সৃষ্টি হয়েছে ড্রপের। শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আলহাজ্ব মুহাঃ কওসার আলী গাজী জানান, বর্ষার শেষ এবং শীতের আগমনী যে সময় আবহাওয়া পরিবর্তনের এ সময়ে অতিরিক্ত জ¦র, সর্দি, কাশি, পাতলা পায়খানা, এলার্জি ও ভাইরাস জনিত চোখ ওঠা রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ে।
গত ১ মাসেরও অধিক সময় এ ধরণের সমস্যায় ভুগছে এলাকার প্রতিটি পরিবারের কোন না কোন সদস্য। রাড়ুলী আলহেরা মাদরাসার মুহতারিম হাফেজ মাওঃ গোলাম উল্লাহ জানান, প্রতিষ্ঠানের প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী চোখ ওঠা সমস্যায় ভুগছে। হরিদাশকাঠী গ্রামের গৃহবধু তাজমিন নাহার জানান, আমার ৯ মাসের শিশু পুত্র গত ১০ দিন এ ধরণের সমস্যায় ভুগছেন।
আনোয়ারা বেগম জানান, বর্তমানে বাজারের চোখ ওঠা রোগের প্রতিষেধক ড্রপ পাওয়া যাচ্ছে না। যার ফলে আমরা খুব বিপাকে রয়েছি। বান্দিকাটী গ্রামের নূর জাহান বেগম জানান, আমাদের বাড়ীর বেশিরভাগ সদস্যরা চোখ ওঠা সমস্যায় ভুগছে। ড্রাগ ইন্টার ন্যাশনাল ফার্মাসেটিক্যাল লিঃ এর ফিরোজ আহমেদ জানান, সরবরাহের তুলনায় চাহিদা অনেক বেশি। এ জন্য প্রত্যেকটি কোম্পানির ড্রপের সংকট দেখা দিয়েছে। বিষয়টি আমরা কোম্পানির উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। আশা করছি আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। চোখ ওঠা রোগের প্রতিকার ও করণীয় প্রসঙ্গে চিকিৎসক কওসার আলী জানান, একই পুকুরের পানিতে সবাই মিলে গোসল করার ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে খাওয়া এবং গোসলের ক্ষেত্রে বিশুদ্ধ পানির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে, রোদ-গরম পরিহার করতে হবে। সর্বোপরী পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
(ঊষার আলো-এফএসপি)