UsharAlo logo
মঙ্গলবার, ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা

koushikkln
সেপ্টেম্বর ৯, ২০২২ ১১:২২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরকে সাফল্য হিসেবেই দেখছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলেছেন, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহৎ বাণিজ্যিক অংশীদার ভারত। বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকলেও দেশটিতে রপ্তানি বেড়েছে, বিশেষ করে ভারতের সেভেন সিস্টার্সে বাংলাদেশের জন্য নতুন নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

সোমবার (০৫ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চার দিনের ভারত সফরের ফলে বাংলাদেশের জন্য দীর্ঘ মেয়াদে অংশীদারি বাণিজ্যের পথ আরো উন্মুক্ত হবে। প্রধানমন্ত্রীর সফরেও ৬১ জন ব্যবসায়ী ছিলেন।
ব্যবসায়ী নেতারা জানান, এবার বিশেষ করে বাংলাদেশে যৌথ বিনিয়োগে গুরুত্ব দিয়েছেন তাঁরা। এর ফলে কারিগরি দিকগুলো সম্পর্কে বাংলাদেশ জানবে, একই সঙ্গে দেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়বে। এ জন্য ভারতের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে সমঝোতা সই এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যবসায়ী টু ব্যবসায়ী (বি২বি) বৈঠক করেছেন তাঁরা।

ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা জানান, ভারত সফরে এবার ব্যবসায়ীদের মূল লক্ষ্য যৌথ বিনিয়োগ আকর্ষণ করা; একই সঙ্গে দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ এবং মুম্বাই ছাড়াও ভারতের অন্য প্রদেশে বাণিজ্য বাড়ানো। ভারতের পূর্বাঞ্চল শিলং, গুয়াহাটি, মেঘালয়ে প্রচুর ফল হয়। এসব ফল প্রয়োজনের চেয়ে বেশি হওয়ায় অনেক মৌসুমি ফলের মতো পচে যায়। এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে যৌথ বিনিয়োগ করা গেলে কর্মসংস্থান, বিনিয়োগ ও রপ্তানি বাড়বে। এ ছাড়া ভারত স্বর্ণশিল্পে বড় দেশ। বাংলাদেশে ভারতের স্বর্ণ এনে অলংকার তৈরি করা গেলে দেশে আধুনিক দক্ষ কারিগর তৈরিসহ চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব।
ব্যবসায়ীদের অভিমত, ভারতে কটন, জুয়েলারি, ফলের রস প্রক্রিয়াকরণ কারখানা, তৈরি পোশাক, সরিষার তেলসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে সম্ভাবনা রয়েছে।
আইবিসিসিআইয়ের তথ্যানুসারে, ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ভারতে বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ৫৩০ কোটি ডলারের পণ্য। আর ২০২১-২২ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্য হয় এক হাজার ৫৯৩ কোটি ডলার। এ সময় ভারত বাংলাদেশে রপ্তানি করেছে এক হাজার ৩৯৩ কোটি ডলার। বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ২০০ কোটি ডলারের পণ্য। বাংলাদেশের আমদানির বড় অংশই খাদ্যপণ্য, শিল্পের কাঁচামাল এবং যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ।

বর্তমানে সাফটা ও বিমসটেক চুক্তির মাধ্যমে ভারতে শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতায় রপ্তানির সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে ব্যবসায় বিনিয়োগের পরিধি বাড়াতে সেপা চুক্তির বিষয়ে পর্যালোচনা হচ্ছে কয়েক বছর ধরে। প্রধানমন্ত্রীর সফরে এ বিষয়েও অগ্রগতি এসেছে।

দ্বিপক্ষীয় এই চুক্তি নিয়ে করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, সেপা চুক্তি করা হলে বাংলাদেশের বর্তমান প্রবৃদ্ধি ১.৭২ শতাংশ বেশি হবে। ভারতের বাড়বে দশমিক শূন্য তিন শতাংশ হারে। এ ছাড়া চুক্তির ফলে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিভিন্ন নন-ট্যারিফ ও প্যারা-ট্যারিফ প্রত্যাহার হবে। ফলে ভারতে রপ্তানি সম্ভাবনা এবং বাংলাদেশে ভারতীয় বিনিয়োগ বাড়বে। এতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে।