বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনি
১০ এপ্রিল রোববার বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. জসীম উদ্দীন হায়দার সমাজসেবা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকার একটি চেক হারিছা ও তার বাবা রিকশা শ্রমিক মিজানুর রহমান হালদারের হাতে তুলে দেন। হারিছা বরিশালের বানারীপাড়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. মিজানুর রহমান হাওলাদার ও রাজিয়া বেগম দম্পতির তৃতীয় সন্তান।
দারিদ্রতার সঙ্গে নিত্য লড়াই করে পড়াশোনা চালিয়ে গেছেন সাদিয়া আফরিন হারিছা। ফলস্বরূপ এবারের এমবিবিএস রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছে অদম্য এই মেধাবী। হারিছার বাবা পেশায় একজন রিকশাচালক।
অভাবনীয় এই সাফল্যের প্রসঙ্গে সাদিয়া আফরিন হারিছা বলেন, ২০১৪ সালে আমার মা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন আমরা ঠিকমতো মায়ের চিকিৎসাও করাতে পারিনি। আমি তখন ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। তখন থেকেই মনে স্বপ্ন পুষেছিলাম, পড়াশোনা করে ডাক্তার হবো। দরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে সেবা দেব। একজন প্রকৃত মানবিক ডাক্তার হয়ে মানবতার সেবায় ব্রত হবো।
এর আগে রোববার বিকাল সাড়ে ৫টায় বরিশাল নগরীর আলেকান্দাস্থ সরকারি শিশু পরিবারে (বালিকা) আয়োজিত ইফতার মাহফিল ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নতুন পোশাক বিতরণ অনুষ্ঠানে হারিছা ও তার বাবা মো. মিজানুর রহমান হাওলাদার ও মা রাজিয়া বেগমকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান জেলা প্রশাসক। এসময় বরিশালের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রকিবুর রহমান খান, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আল মামুন তালুকদার, প্রবেশন অফিসার সাজ্জাদ পারভেজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সাদিয়া আফরিন হারিছা ও তার তিন বোনের লেখাপড়াসহ দরিদ্র পরিবারটির সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছে দেশের শীর্ষ স্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ।