মোঃ আশিকুর রহমান : খুলনার সবচেয়ে বৃহত্তর পশুর হাট বসেছে নগরীর জোড়াগেট কাচাবাজার সংলগ্নে। প্রতিবছর খুলনা সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে বসে এই পশুরহ হাট। হাটে প্রচুর কোরবানীর পশুর সমাগম গটে বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চল হতে। প্রতিবছরে ন্যায় এবারও গত ৩ জুলাই হতে শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী এই পশুরহাট। তবে নিরাপত্তাসহ পশু কেনার সর্বাত্ত্বম ব্যবসা করলেও এবার জোড়াগেট পশুর সমাগম অনেকটাই কম। আয়োজক কমিটি মনে করছেন প্রতিবছরই ঈদের দু’ একদিন আগে পশুর ব্যাপক সমাগম ঘটে। তবে এবার পশুর পশুর সমাগম অনেকটাই কম।
আয়োজক কমিটির সুত্রে জানা যায়, প্রতিবছর কোরবানী ঈদে যশোর অঞ্চল হতে প্রচুর কোরবানীর গরুর সমাগম ঘটে। বিগত কয়েক বছর এই হাটে ঐ অঞ্চলের ব্যবসায়ীসহ প্রান্তিক খাবারিরা গরু নিয়ে আসে জোড়েগেট। কিন্তু এবার ফুলবাড়ীগেট বালুর মাঠে একটি পশু কেনাবেচার হাট হয়েছে। ওই সড়ক দিয়ে সে সকল গরুর মালিকগন পরিবহনে করে জোড়াগেটে পশুর নিয়ে আসতে হাচ্ছেন সেখানে ফুলবাড়ীগেট হাট পরিচালনা কমিটি ওই সকল ব্যবসায়ী বা খামারীদের গরু তাদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও ওই হাটে নামাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে জোড়াগেট পশু কোরবানী হাটের পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসুজ্জামান মিয়া স্বপন জানান, প্রতিবছর যশোরের বিভিন্ন অঞ্চল হতে জোড়াগেটে কোরবানী পশু নিয়ে আসে অনেক ব্যাপারীসহ প্রান্তিক খামারী। কিন্তু ফুলবাড়ীগেট পশুর হাটে ওই সকল খামারীদের গরু সেখানে তাদের অনিচ্ছা সত্ত্বে নামানো হচ্ছে বলে একাধিক ব্যাপারী, পশুর মালিক আমাকে ফোনযোগে জানিয়েছে। এ ব্যাপারে আমি উক্ত থানার ওসিসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি।
খানজাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল খান জানান, ফুলবাড়ীগেট হাটে জোরপূর্বক ব্যাপারীসহ প্রান্তিক খামারীদের পশু নামানো হচ্ছে। বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। পশুর মালিকগন শহরে বা গ্রাম যেখানে খুশি সেখানের হাটে তাদের পশু বিক্রিয় করবে, এতে কেউ বাধা প্রদান করবে না, করলে তাদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।