ঊষার আলো ডেস্ক : এ যেন বিশ্বের তাবড় সিরিয়াল কিলারদের কাহিনিকেও হার মানায়। ৩০ বছর ধরে কমপক্ষে ৭০ জন নারীকে খুন করেন বাবা। সেই তথ্য ফাঁস করে দিলেন তার সন্তান। এ ঘটনাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লোয়া শহরের।
এই ঘটনা এখানেই শেষ নয়। বাবার কুকীর্তি ফাঁস করে দেওয়া সেই নারীর নাম লুসি স্টুডিও। তার দাবি, ভাই-বোনদের সাথে সেই মরদেহগুলো তিনি নিজেও কবর দিতেন। শুধু তাই নয়, যেসব জায়গায় লাশগুলো মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে, তা পুলিশকে দেখিয়েও দিয়েছেন সেই নারী। সাথে সাথে পুলিশ তাদের ক্যাডেভার কুকুর নিয়ে সেখানে যায়। এ পর্যন্ত কিছু না মিললেও, সেই নারীর দেখানো জায়গায় মৃত মানুষের পচাগলা দেহের উপস্থিতির ইঙ্গিত দিয়েছে পুলিশের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর। এই ঘটনা সত্যি প্রমাণিত হলে এটি বিশ্বের অন্যতম সিরিয়াল কিলিংয়ের কাহিনি হিসেবে পরিচিতি পাবে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালে ৭৫ বছর বয়সে মারা যান লুসির বাবা ডোনাল্ড ডিন স্টুডি। লুসির দাবি বাবার কথামতো ঠেলাগাড়ি করে মরদেহগুলোকে একটি ১০০ ফুট গভীর কুয়া ও একটি পাহাড়ে নিয়ে যেতেন তিনি। এ কাজে তাকে সাহায্য করতেন ভাই-বোনরা। কাপড় এবং গয়না পরা অবস্থাতেই বেশিরভাগ নারীর মরদেহ কবর দিতেন ডোনাল্ড। অধিকাংশ মরদেহই ফেলা হতো কুয়ায়। এরপর ভাই-বোনদের সাথে সেগুলোর উপর মাটি ফেলতেন লুসি। আর শুধু তাই নয়, ট্রফি হিসেবে নিজের শিকারের একটি দাঁত বাড়িতে সাজিয়ে রাখতেন ডোনাল্ড।
লুসির কথা শুনেই কুকুর নিয়ে ওইখানে হাজির হয় পুলিশ। এ বিষয়ে ফ্রেমন্টের শেরিফ (সরকারি কর্মকর্তা) কেভিন এইস্ত্রোপ বলেন, ‘এ পর্যন্ত কঙ্কালের হাড় উদ্ধার হয়নি। কিন্তু কুকুরদের ইঙ্গিত অনুযায়ী, লাশ কবর দেওয়ার জায়গাটি অনেকটা বড়।
সূত্র: সিএনএন, নিউজ উইক, ফক্স ফাইভ, ডেস মইনেস রেজিস্টার, ইউএসএ টুডে, ডেইলি মেইল
(ঊষার আলো-এফএসপি)