UsharAlo logo
শুক্রবার, ৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা

ঊষার আলো
অক্টোবর ২৪, ২০২৩ ৩:৪৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : আজ শুভ বিজয়া দশমী। বাঙালি হিন্দুদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসবের সমাপনী দিবস। আজ প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি ঘটবে। দেবী দুর্গা অশুভের বিরুদ্ধে শুভ শক্তির বিজয়ের প্রতীক। এ বিজয় অর্জিত হয় আদ্যাশক্তি মহামায়ার সক্রিয় ভূমিকায়। মাতৃরূপিণী মহাশক্তি দুর্গা অশুভ শক্তির কবল থেকে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ও ভক্তকুলকে রক্ষা করেন। এই অমিত চেতনার সঙ্গে আবহমান বাংলার লোকজ সংস্কৃতি যুক্ত হয়ে দেবী দুর্গাকে বাঙালি হিন্দুসমাজ ‘ঘরের মেয়ে’ হিসাবেই বরণ করে নেয়।

এবার দেশের হিন্দু সম্প্রদায় পরিপূর্ণ উৎসাহ-উদ্দীপনা ও যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে দুর্গোৎসবের আয়োজন করে। রাজধানী ছাড়াও প্রত্যন্ত গ্রামের মণ্ডপগুলো ছিল উৎসবমুখরিত। শান্তিপূর্ণ ও আনন্দমুখর পরিবেশে দুর্গোৎসব উদযাপিত হয়েছে। প্রায় সর্বত্রই মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সক্রিয় অংশগ্রহণ এর প্রমাণ। ভীতিমুক্ত পরিবেশে ভক্তকুল সমবেত হয়েছে পূজামণ্ডপগুলোতে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীর পাশাপাশি অন্য ধর্মের মানুষও সর্বজনীন দুর্গোৎসবের আনন্দ ভাগ করে নিয়েছে। এ দেশে শত শত বছর ধরে বিভিন্ন সম্প্রদায় পারস্পরিক সহাবস্থান ও সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করে আসছে। এক ধর্মাবলম্বী অন্য সম্প্রদায়ের বিপদে-আপদেও পাশে দাঁড়ায়। এটা বাঙালির চিরন্তন ঐতিহ্য ও সম্প্রীতির পরিচায়ক। মাঝেমধ্যে অশুভ শক্তি এ পরিচয় মুছে ফেলতে তৎপর হলেও সাধারণ মানুষ কখনোই একে প্রশ্রয় দেয়নি। তবে সম্প্রীতির বিষয়টি কেবল বিশেষ উপলক্ষ্য বা পর্বে সীমাবদ্ধ থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। সর্বসময়ে সংখ্যালঘুসহ সব ধর্মাবলম্বীর নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্নে ধর্ম পালন যেমন জরুরি, তেমনি জরুরি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সদ্ভাব ও সম্প্রীতি বৃদ্ধি।

দুর্গাপূজার সঙ্গে বাংলার প্রকৃতির রয়েছে নিগূঢ় সম্পর্ক। শরত-হেমন্তের শুভ্র কাশফুলের মতো মানব হৃদয়েও পুণ্যের শ্বেতশুভ্র পুষ্পরাশি প্রস্ফুটিত হোক। অসুরকে বধ ও অশুভকে বিনাশ করে মানব মনে সঞ্চারিত হোক শুভ চেতনা-এটাই বিজয়া দশমীর প্রত্যাশা।

ঊষার আলো-এসএ