ঊষার আলো রিপোর্ট : বেশ কয়েকদিন ধরে উপকূলে তীব্র তাপদাহ বইছে। এই শ্রাবণেও বৃষ্টির দেখা নেই। প্রচন্ড গরমে অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মানুষ। অতি খরায় শুকিয়ে গেছে খাল বিল। কৃষকরা পারছেন না চাষাবাদ করতে। তাই এই খরা পরিস্থিতিতে বৃষ্টির আশায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন।
সোমবার (১ আগস্ট) সকাল সাড়ে সাতটায় উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সুলতানগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নীলগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে পৃথকভাবে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। এসময় তারা সবাই পরিধেয় পোশাক এবং টুপি উল্টো করে দুই রাকাত নামাজ করেন।
নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সুলতানগঞ্জ গ্রামের কৃষক হারুন মৃধা বলেন, বর্তমানে আমনের মৌসুম শেষের দিকে। এই মুহূর্তে বৃষ্টি না হলে আমরা চাষাবাদ করতে পারবো না। তাই আল্লাহর কাছে বৃষ্টি চেয়ে আমরা নামাজ আদায় করেছি।নীলগঞ্জ গ্রামের আরেক কৃষক ফেরদৌস মৃধা বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় খাল বিল ও মাঠ-ঘাট শুকিয়ে গেছে। আমাদের চাষাবাদ ব্যহত হচ্ছে।
এছাড়া মৌসুমী সবজিও চাষ করতে পারছি না। তাই আল্লাহ যেন আমাদের উপর রহমত বর্ষণ করেন সে কারণেই আমরা ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছি। মধ্য নীলগঞ্জ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আবদুল কুদ্দুস আকন বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এই নামাজ আদায় করেছিলেন। এটি মূলত নফল নামাজ। দেশে বালা মসিবত ও অনাবৃষ্টির কারণে আমরা এই নামাজ আদায় করেছি।
আল্লাহ চাইলে রহমতের বৃষ্টি হতে পারে।এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে উজেলার ডাবলুগঞ্জ ইউনিয়নের শুরুডুগি গ্রামে এবং ধুলাসার ইউনিয়নের চর চাপলি গ্রামের বৃষ্টি কামনায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করেন শত শত ধর্মপ্রাণ মুসল্লি।
ঊষার আলো-এসএ