ঊষার আলো ডেস্ক : মহামারী করোনার মধ্যেও দেশের অর্থনৈতিক গতিশীলতা অব্যাহত আছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যতই প্রতিকূলতা আসুক এ অগ্রযাত্রাকে দমানো যাবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে যাবতীয় পরিকল্পনার বিষয়ে কাজ করছি আমরা। এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রের মর্যাদা লাভ করবে বলে আমরা আশাবাদী।
বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে ভূমি ভবন ও ভূমি তথ্য ব্যাংকের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা।
এদিন, ভূমি ভবন, উপজেলা ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস ভবন, অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ কার্যক্রম ও ভূমি তথ্য ব্যাংকের উদ্বোধন করেছেন সরকার প্রধান। এসময় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, ভূমি সচিব মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য দেশের উন্নয়ন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে এখন অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। এখন ঘরে বসে সেবা পাচ্ছে মানুষ। ডিজিটালাইজেশনের কারণে এটা সম্ভব হচ্ছে।’
এদিকে, ভূমির আধুনিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরে মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পর্চা, খতিয়ান, সার্টিফিকেট ও ম্যাপের মতো ভূমি সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রামাণ্য দলিলাদি (সার্টিফায়েড ডকুমেন্ট) ভূমিসেবা গ্রহীতা নাগরিকদের বাসায় পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
ভূমির মালিক হিসেবে বিভিন্ন প্রয়োজনে বাংলাদেশের নাগরিকেরা ভূমি সংক্রান্ত সব আবেদন এবং তার ভিত্তিতে ডকুমেন্ট ও ম্যাপ সংগ্রহ করে থাকেন। এতদিন পর্যন্ত এ ধরনের কাজে ভূমি অফিসগুলোতে একাধিকবার যাওয়ার প্রয়োজন পড়তো নাগরিকদের।
ডিজিটাল ভূমি সেবার আওতায় নাগরিকদের জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার সুযোগ সৃষ্টি করা গেলেও প্রাপ্য পর্চা, খতিয়ান, সার্টিফিকেট বা ম্যাপ সংগ্রহের জন্য ভূমি অফিসে যাওয়ার কোনো বিকল্প ছিল না। এসব সংগ্রহের জন্য এখন থেকে আর ভূমি অফিসে যাওয়া লাগবে না। নন-সার্টিফায়েড ডকুমেন্টগুলো আরও সহজে ও দ্রুততর সময়ে নাগরিকেরা বাড়িতে বসেই ডাকযোগে সংগ্রহ করতে পারবেন।
(ঊষার আলো-আরএম)