UsharAlo logo
শুক্রবার, ৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মহেশ্বরপাশা ও ইয়ং রেডসান ক্লাবের জয়

koushikkln
আগস্ট ৭, ২০২২ ১০:০৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ক্রীড়া প্রতিবেদক : জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন খুলনা আয়োজিত এবং বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু সিনিয়র ডিভিশন ফুটবল লীগে জয় পেয়েছে মহেশ্বরপাশা ক্লাব ও ইয়ং রেডসান ক্লাব।

রবিবার (৭ আগস্ট) জেলা স্টেডিয়ামে দু’টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর আড়াইটায় দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় মহেশ্বরপাশা ক্লাব বনাম বলাকা স্পোটিং ক্লাব। এ ম্যাচে মহেশ্বরপাশা ক্লাব ৩-০ গোলে বলাকা স্পোটিং ক্লাবকে পরাজিত করে। অপর দিকে বিকেল সোয়া ৪টায় দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে খুলনা আবাহনী ক্রীড়া চক্র ও ইয়ং রেডসান ক্লাব। এ ম্যাচে ইয়ং রেডসান ক্লাব ১-০ গোলে পরাজিত করে খুলনা আবাহনী ক্রীড়া চক্রকে।

দিনের প্রথম ম্যাচে মহেশ্বরপাশা ক্লাব আগের ৩ খেলায় একজয়, এক পরাজয় ও এক ড্র করে ৪ পয়েন্ট নিয়ে মাঠে নামে। পক্ষান্তরে বলাকা স্পোটিং ক্লাব ৩ পরাজয় নিয়ে মাঠে নামে। শক্তির দিক থেকে অনেক এগিয়ে মহেশ্বরপাশা খেলা শুরু করে। খেলার ৮ মিনিটের সময় মহেশ্বরপাশার ১৭নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় তুহিন গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যায় (১-০)। পিছিয়ে পড়ে বিরতীতে যায় বলাকা। বিরতী থেকে ফিরে উভয় দলই আক্রমন-পাল্টা আক্রমন করতে থাকে। তবে গোল পরিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে বলাকা। কিন্তু তাদের সে চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় মহেশ্বরপাশার রক্ষণভাগ। খেলার ৬০ মিনিটের সময় ১১নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় মিরাজ গোল করে দলের স্কোর বাড়ায়। (২-০)। দু’গোলে এগিয়ে থেকে আরও আক্রমন বাড়িয়ে দেয় মহেশ্বরপাশা। ৭৪ মিনিটের সময় ১৭নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় তুহিন আবারও গোল করে দলের স্কোর (৩-০) করেন। ফলে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মহেশ্বরপাশা। আর ৪ খেলায় শুণ্যে পয়েন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বলাকাকে। খেলাটি পরিচালনা করেন রেফারী মাহবুবুর রহমান, পারভেজ আলম, জসিম উদ্দিন ও অপুর্ব মল্লিক। ম্যাচ কমিশনার ছিলেন এহসানুল হক।

দিনের দ্বিতীয় খেলায় শক্তিশালী খুলনা আবাহনী ক্রীড়া চক্রের প্রতিপক্ষ ছিল ইয়ং রেডসান ক্লাব। খেলাটি উপভোগ করল খুলনার দর্শকরা। মন মাতানো এ খেলায় ছিল আক্রমন-পাল্টা আক্রমন। উভয় দলই জয়ের নেশায় মরিয়া হয়ে ওঠে। মাঠে নামার আগে প্রতিপক্ষের থেকে অনেক এগিয়ে ছিল আবাহনী ক্রীড়া চক্র। ৩ খেলায় দু’জয় ও এক পরাজয় নিয়ে মাঠে নামে আবাহনী। পক্ষান্তরে রেডসান সমান সংখ্যাক খেলায় দু’পরাজয় ও এক জয় নিয়ে মাঠে নামে। আক্রমন-পাল্টা আক্রমন আর গোল মিসের মধ্যে দিয়ে বিরতীতে যায় উভয় দল। বিরতী থেকে ফিরে উভয় দলই জয়ের আশায় আক্রমন-পাল্টা আক্রমন করতে থাকে। তবে জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে রেডসান। একের পর এক আক্রমন করতে থাকে তারা। তাতে ফলও পায়। ৭২ মিনিটে ডানপ্রাপ্ত থেকে রেডসানের রাইটব্যাক কর্ণার কিক ছোট ডি বক্সের মধ্যে উঁচু করে ফেললে আবাহনীর ৬নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় সাহরুখ ক্লিয়ার করতে গেলে তার পায়ে লেগে গোলকিপার লালুকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে প্রবেশ করে (১-০)। পিছিয়ে পড়ে গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে ওঠে আবাহনী। তবে রেডসানের রক্ষণভাগ ভেদ করতে পারেনি আবাহনী। ফলে আত্মঘাতি গোলে পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে খুলনা আবাহনী ক্রীড়া চক্রকে। খেলাটি পরিচালনা করেন রেফারী আব্দুর রহমান ঢালী, আকবর আলী, আকিব জাভেদ ও জাহিদুজ্জামান। ম্যাচ কমিশনার ছিলেন নৃপেন রায়। খেলা দু’টির ধারাভাষ্য ছিলেন এডভোকেট এম এম সাজ্জাদ আলী ও এডভোকেট প্রজেশ রায়।

মাঠে উপস্থিত ছিলেন জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম, জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. মোতালেব মিয়া, ডিএফএ সাধারণ সম্পাদক মো. ইউসুফ আলী, কোষাধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম খান কালু, কার্যনির্বাহী সদস্য ও লীগ কমিটির সম্পাদক সুজন আহমেদ ও সদস্য ও লীগ কমিটির সহ-সম্পাদক মনিরুজ্জামান মহসীন। ৮ আগস্ট সোমবার জেলা স্টেডিয়ামে একটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। বিকেল ৪টায় দিনের একমাত্র ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে শেখ কামাল স্মৃতি সংসদ ও উল্কা ক্লাব।