ঊষার আলো ডেস্ক : মাগুরায় খুলনা মেট্রোপলিটনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডিশনাল এসপি) লাবণী আক্তারের গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত এবং তার সাবেক দেহরক্ষী কনস্টেবল মাহমুদুল হাসানের (২৩) মাথায় গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২০ জুলাই) রাত ১১টার দিকে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সারঙ্গদিয়া গ্রামের নানা বাড়ি থেকে এডিশনাল এসপির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বিসিএস ৩০ ব্যাচের লাবণী আক্তার খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এডিসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি দুইদিন আগে ছুটিতে মাগুরায় আসেন। আর তার স্বামী তারেক আবদুল্লাহ বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক (এডি)। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে এখন ভারতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, রাতে নানার বাড়িতে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন লাবণী। ঘটনা টের পেয়ে বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আর বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মাহমুদুল হাসানের মরদেহ পাওয়া যায় মাগুরা পুলিশ লাইন্স ব্যারাকের ছাদের উপর।
পুলিশের ধারণা যে, তিনি নিজের সরকারি অস্ত্র দিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন। মাহমুদুলের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুরে। তিনি প্রায় দেড় মাস আগে বদলি হয়ে মাগুরা আসেন। আর তার আগে তিনি খুলনায় এডিশনাল এসপি লাবণী আক্তারের দেহরক্ষী ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কামরুল হাসান।
তিনি জানান, ভোরে নিজের ডিউটি শেষ করে মাহমুদুল হাসান পুলিশ লাইনে ব্যারাকে ফিরে যান। এরপর কোনো এক সময় তিনি ব্যারাকের ছাদে উঠে নিজের নামে ইস্যু করা শটগান দিয়ে নিজের মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেন বলে শুনেছি। তবে তারা আত্মহত্যা করেছেন, নাকি তাদের হত্যা করা হয়েছে, তা এখন তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
দু’জনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
(ঊষার আলো-এফএসপি)