UsharAlo logo
মঙ্গলবার, ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মাদ্রাসায় একা পেয়ে শিক্ষার্থীকে বলাৎকার করল শিক্ষক

koushikkln
সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২ ১:১৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট: শিক্ষকের কাছে যে ছাত্রটি নিরাপদ থাকার কথা তার কাছেই বলাৎকারের শিকার হলো। ঘটনাটি সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার (দ্বিতীয় ফেজ)। একবার নয় শিশুটিকে সপ্তাহে দু’বার বলাৎকার করা হয়েছে। জঘন্য এই কাজটি করেছেন মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ মহিবুল্লাহ শেখ (২৪)। বড় হুজুর হিসেবে পরিচিত এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক শিশুকেই বলাৎকার করার অভিযোগ রয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, রূপসা চানমারী এলাকায় কাঠ গোলায় শ্রমিকের কাজ করেন আলামিন শেখ। মা মরা তার একমাত্র ১২ বছরের ছেলেকে নগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার ১৩নং রোডের ৭৩নং বাড়ির নিচ তলায় দারুল খুল হেফজুল কোরআন মাদ্রসায় ভর্তি করেন। প্রতি শুক্রবার মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় সকল ছাত্ররা বৃহস্পতিবার চলে যায়। কিন্তু ভিকটিম শিশুটি প্রতি শুক্রবার বাড়িতে না গিয়ে নিজে রান্না করে শিক্ষকদের খাওয়াতেন। গত শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোরে সে একাই ওই মাদ্রাসার একটি রুমে ঘুমিয়ে ছিল। সেই মুহুর্তে বড় হুজুর মোঃ মহিবুল্লা শেখ শিশুটিকে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক বলাৎকার করেন। এরপর তাকে ভয় দেখিয়ে বলাৎকারকারী শিক্ষক চলে যান। পরদিন শিশুটির পিতা ঘটনাটি জানতে পারেন এবং তিনি মাদ্রাসার অন্য ছাত্রদের অভিভাবকদের জানান। সকল অভিভাবক তাদের সন্তানদের ওই মাদ্রসা থেকে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জানতে পারলে মাদ্রাসার শিক্ষকরা পালিয়ে যান। এঘটনায় শিশুটির পিতা বাদীয় হয়ে রোববার রাতে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ভিকটিমমের পিতা আলামিন শেখ বলেন, আমার মা মরা ছেলেটাকে হাফেজ বানাতে ওই মাদ্রাসায় ভর্তি করেছিলাম। আমার ছেলেকে দুই বার ওই বড় হুজুর বলাৎকার করেছেন। আমি অন্য অভিভাবকদের বিষয়টি জানিয়েছি। অন্য ছাত্রদেরও একাধিকবার ওই হুজুর বলাৎকার করেছে।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমতাজুল হক জানান, এঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামী পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য আমাদের অভিযান চলছে। খুব শিঘ্রই তাকে গ্রেফতার করা হবে।

ঊআ-বিএএস