দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধারণ এবং নিরিহ লোকদের ভালো চাকুরি, মডেলিং, বিয়ের সুযোগসহ নানান সুবিধার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের ছেলে মেয়েদের বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়। প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগিরা যখন বুঝতে পারে প্রতারিত হয়েছে তখন তারা নিরুপায়।
মানব পাচার একটি জঘণ্য সামাজিক অপরাধ। এ ধরণের জঘন্য অপরাধজনক কর্মকান্ডকে প্রতিরোধ কিংবা নিয়ন্ত্রণ করা খুব সহজ কাজ নয়। এক্ষেত্রে বহুল প্রচারণার মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে জনসচেতনতা অপরাধ নিয়ন্ত্রণে শক্তিশালি ভূমিকা পালন করতে পারে। এরূপ মহৎ উদ্দেশ্য সামনে রেখে মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে নারীদের সচেতনতায় ভূমিকা রাখতে খুলনা বিভাগীয় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং মানবাধিকার সংস্থা জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার সমন্বয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় কেএমপি সদর দপ্তর সম্মেলন কক্ষে। সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার।
সমাজের কোন শ্রেণীপেশার পরিবারের মেয়েরা পাচারের শিকার হয়, কারা এই অপরাধের সাথে সরাসরি জড়িত, কারা পরোক্ষভাবে জড়িত, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পাচারের রুট ইত্যাদি বিষয় নিয়ে সভায় আলোচনা করা হয়। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ডিডি (মাধ্যমিক) খুলনা অঞ্চল মোঃ কামরুজ্জামান, সিনিয়র শিক্ষক খুলনা জেলা স্কুল মোঃ মাহফুজ্জামান, জাস্টিস এন্ড কেয়ার কর্মকর্তাএ বি এম মহিদ হোসেন এবং কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এ্যাডমিন এন্ড ফিন্যান্স) আবু রায়হান মোহাম্মদ সালেহ।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশেষ পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাবৃন্দ।
ঊআ-বিএস