ঊষার আলো প্রতিবেদক : জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাড়িয়েছে প্রবীন আ’লীগ নেতা আবু বক্কার শিকদার(৯২)। বর্তমানে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মৃত্যুর আগে তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃতি ধেতে যেতে চান। তিনি নড়াইল জেলার পার বিষ্ণুপুর জমিদার গয়রাতুল্য শিকদারের বংশধর। তিনি আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। রাজনৈতিক বর্ণাঢ্য জীবনে তিনি কখনও অন্যায়ের সাথে আপোষ করেননি। রাজনৈতিক জীবনে তিনি নড়াইল জেলার কালিয়া থানার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পরে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে ১৫ বছর দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে খুলনা নগরীর ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন ১৫ বছর। যা আগে ছিল ২৫নং ওয়ার্ড। বর্তমানে তিনি মহানগর আওয়ামীলীগের ্উপদেষ্টা কমিটির অন্যতম সদস্য। তিনি শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, সিটি মেয়র তালুকদার আঃ খালেকসহ খুলনা অনেক আওয়ামী নেতাদের শ্রদ্ধাভাজন।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি নড়াইল কালিয়া থানার মুক্তিযোদ্ধাদের অপারেশন কমিটির একজন সদস্য ছিলেন। ভারতের বয়রা মুক্তিযুদ্ধের ক্যাম্পের পলিটিক্যাল মোটিভেটর মরহুম এখলাছ উদ্দীন বিশ্বাস ও কর্ণেল পিসি মুখার্জির চিঠি এখনও তাঁর কাছে রয়েছে। কিন্তু তিনি এত ত্যাগ স্বীকার করার পরও মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই নেতা। দীর্ঘ দিন অসুস্থ্য থাকার পর গত ২ মার্চ’২১ সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাকে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তার অবস্থা আশংকাজনক। মৃত্যুর সাথে তিনি পাঞ্জা লড়ছেন বলে জানান তারই নিকটজন আজিম শিকদার।
তিনি বলেন, এই লোকটি কখনও নিজের কখা চিন্তা করেননি। সব সময় অন্যের উপকারে দিন রাত ছুটে চলেছেন। কিন্তু তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেও তার স্বীকৃতি পেলেন না। মৃত্যুও আগে তিনি যেন তার কাজের স্বীকৃতি পান এ জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।