UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যমুনায় কমছে পানি

usharalodesk
জুন ২৩, ২০২২ ১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : দুই সপ্তাহ ধরে পানি বৃদ্ধির পর আজ যমুনা নদীর পানি কমেছে। সিরাজগঞ্জের কাজীপুর ও শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় পানি কমেছে। তবে পানি কিছুটা কমলেও বিপৎসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে বানভাসিদের দুর্ভোগ কাটতে সময় লাগবে আরও কিছু দিন।

জেলার কাজীপুর পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৬ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ এলাকায় ৮ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন ও সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপক হাসানুর রহমান।

এদিকে জেলার নিম্নাঞ্চলের প্রায় শতাধিক গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এতে নিম্নাঞ্চলের মানুষ যেমন পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে পড়ছে তেমনি নষ্ট হচ্ছে কৃষকের ফসল। ইতোমধ্যে জেলার ৬০৯২ হেক্টর জমির ফসল পানির নিচে বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

এছাড়া জেলার সিরাজগঞ্জ সদর, কাজীপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের প্রায় ২০টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট, হাটবাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বন্যাকবলিতরা।

এদিকে কাজ না থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন বন্যাকবলিত এলাকার শ্রমজীবীরা। পরিবার-পরিজন নিয়ে অর্ধাহার-অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন অনেকেই। বন্যাকবলিত বেশির ভাগ এলাকায় এখনো শুরু হয়নি সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ত্রাণ বিতরণ।

সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা মো. আকতারুজ্জামান বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ত্রাণ ও শুকনো খাবার বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছি। জেলার চৌহালী উপজেলায় ত্রাণ বিতরণ করা শুরু হয়েছে। এখন খুব দ্রুতই সব জায়গায় ত্রাণ বিতরণ করা হবে।

তিনি বলেন, জেলার কাজীপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলায় ইতোমধ্যে ১৪০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্ধ দিয়েছি। চৌহালীর জন্য ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে। এছাড়া শিশু খাদ্যসহ অন্যান্য শুকনো খাবার মজুত আছে।

তিনি আরও বলেন, বন্যার্তদের জন্য ইতোমধ্যে ৯১১ মেট্রিক টন চাল, নগদ ২০ লাখ টাকা এবং ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে থেকে ১৪০ মেট্রিক টন চাল, ৬ লাখ টাকা ও ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ শুরু করা হয়েছে। বাকিগুলো এখনও মজুত আছে। পর্যায়ক্রমে এগুলোও বিতরণ করা হবে। প্রয়োজনে আরও চাহিদা দেওয়া হবে।

ঊষার আলো-এসএ