UsharAlo logo
মঙ্গলবার, ১লা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে তৎপর ছিল এফবিসিসিআই

usharalodesk
অক্টোবর ১, ২০২৪ ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : বিগত ১৫ বছরে যাবৎ এফবিসিসিআই-এর কার্যক্রম ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবা খাতের স্বার্থে সার্বিকভাবে পরিচালিত হয় নাই। বরং প্রতিষ্ঠানটির নেতারা অনির্বাচিত, একদলীয় স্বৈরাচারী সরকারের তোষামদি, ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলসহ রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে তৎপর ছিল বলে অভিযোগ করেছেন দি ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদ নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন সংস্কার পরিষদের সমন্বয়ক আবুল কাশেম হায়দার, জাকির হোসেন নয়ন, গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী খোকন ও মো. জাকির হোসেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই-এর সদস্য মো. আওলাদ হোসেন রাজিব, মো. জমসের আলী, হাজী ফারুক আহমেদ, মো. ইসমাইল চৌধুরী, ডা. মাহবুব হাফিজ, মো. আলী জামাল, মো. একেএম আরিফুল কবীর প্রমুখ।

লিখিত বক্তৃতায় তারা বলেন, গত দেড় দশকে এফবিসিসিআই কর্তৃক বাজার নিয়ন্ত্রণে উদাসীনতা এবং ব্যর্থতার কারণে বাজার সিন্ডিকেটের প্রভাবে অনেক নিত্যপণ্য ও ভোগ্যপণ্যের বাজার মূল্য দ্বিগুণ, তিনগুণ বাড়িয়ে একটি মহল রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে। এফবিসিসিআই নেতৃত্ব শুধু করপোরেট ব্যবসায়ী ও করপোরেট হাউজগুলোর স্বার্থ রক্ষার কাজে ব্যস্ত ছিল। এখানে মাঝারী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন যাবত এফবিসিসিআই-এর সেবা থেকে বঞ্চিত ছিল। সর্বদা গণভবনে তোষামোদকারী সুবিধাবাদী চক্র দলীয় ক্যাডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর জবাবদিহীতাবিহীন এফবিসিসিআই এবং এর অধীনস্থ চেম্বার এবং অ্যাসোসিয়েশনগুলোকে তাদের পকেট সংগঠন হিসাবে নিয়ন্ত্রণ করেছিল।

বক্তারা বলেন, এফবিসিসিআইসহ বাণিজ্য সংগঠনগুলোকে প্রাতিষ্ঠানিক বিপর্যয় থেকে উত্তরনের জন্য ২১ আগষ্ট সাধারণ পরিষদের এক সভায় এফবিসিসিআই-এর সংস্কার বিষয়ে সাধারণ পরিষদ সদস্যদের জনশ্রুতি, অসন্তোষ এবং তীব্র ক্ষোভের কারণে বিগত ১৫ বছরে এফবিসিসিআইর অভ্যন্তরে বিশাল দুর্নীতি এবং আর্থিক অনিয়মের তদন্ত করে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে আবেদন করা হয়।

এ সময় ৮ দফা সংস্কার দাবি তুলে ধরে তারা বলেন, এফবিসিসিআইর নির্বাচনের আগে এর অধিভূক্ত সব অ্যাসোসিয়েশন এবং চেম্বারের নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। পর্ষদের মনোনীত পরিচালক প্রথা সম্পূর্ণ বাতিল করতে হবে। সভাপতি, সহ-সভাপতি এবং পরিচালক পদে সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এফবিসিসিআইর পরিচালনা পর্ষদ ছোট করতে হবে। সহ-সভাপতি ৭ জনের স্থলে ৩ জনের করতে হবে। পরিচালনা পর্ষদ ছোট করে চেম্বার গ্রুপ হতে ১৫ জন পরিচালক এবং অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে ২৫ জন পরিচালক নির্ধারনের জন্য সুপারিশ করা।

এফবিসিসিআইসহ সব অ্যাসোসিয়েশন এবং চেম্বারে পরপর দুইবার নির্বাচিত কর্মকর্তাদেরকে কমপক্ষে একবার বিরতি নিতে হবে। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরে সাধারণ ভোটারদেরকে যে কোনো উপহার বা উপঢৌকন দেওয়া সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করে জরিমানাসহ আজীবন সদস্যপদ বাতিল এর মতো কঠোর শাস্তির বিধান করতে হবে। প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরনবিধি মানার জন্য লিখিত অঙ্গীকারনামা প্রদানের ব্যবস্থা করার দাবি জানান তারা।

পাশাপাশি এসব প্রস্তাবনার যৌক্তিকতাও তুলে ধরেন তারা।

ঊষার আলো-এসএ