UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রায়েরমহলে নিহত আমির শেখের দাফন : দু’ আসামি কারাগারে

koushikkln
নভেম্বর ২৮, ২০২১ ১১:০২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : খুলনার রায়েরমহল মোল্লাপাড়া সড়কের দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা বৃদ্ধ আমির শেখ (৭৫) এর দাফন করা হয়েছে। রবিবার (২৮ নভেম্বর) যোহরবাদ রায়েরমহল বড় মসজিদ প্রাঙ্গণে মরহুমের জানাজা শেষে খানজাহান আলী থানাধীন শিরোমনি উত্তর পাড়ায় নিহতের শ্বশুর শেখ আনসার আলীর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। মৃত্যুর আগে তিনি ওই কবরস্থানে দাফনের জন্য নসিয়ত করে যান। জানাজায় অংশ নেন সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আনিছুর রহমান বিশ্বাসসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। সোমবার (২৯ নভেম্বর) আছরবাদ মরহুমের আতœার মাগফেরাত কামনায় নিজ বাড়িতে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।

এদিকে আমির শেখ হত্যা ঘটনায় এজাহারনামীয় দু’ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রবিবার সকালে র‌্যাব-৬ সদস্যরা আসামীদের বটিয়াঘাটা থানায় হস্তান্তর করে। এ সময় তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে প্রেরণ করে। আদালত শুনানী শেষে আসামীদ্বয়কে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। আসামীরা হলেন মামলার প্রধান আসামী রায়েরমহল মোল্লাপাড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত দাউদ মোল্লার ছেলে মোয়াজ্জেম মোল্লা(৫৪) ও একই এলাকার ও মামলার ৩নং আসামী মৃত মতলেব মোল্লার ছেলে মিজান মোল্লা(৫৬)। আগামী ৩০ নভেম্বর ওই আবেদনের ওপর শুনানী হবে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রূপসা নৌ ফাঁড়ির পুলিশের ইনচার্জ ওসি মো. আ. মুন্নাফ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মামলার প্রধান আসামী মোয়াজ্জেম মোল্লা ওই এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা শাহাদাৎ হোসেন হত্যা মামলার চার্জশীটভুক্ত আসামী। র‌্যাব ৬ এর একটি অভিযানিক দল শনিবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে তাদের দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।

র‌্যাব সূত্র জানায়, আমির শেখ নিহত হওয়ার পর থেকে ওই এলাকায় ঘটনার ছায়া তদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। তাছাড়া জমিজমা নিয়ে মোল্লা পরিবারের সাথে তাদের বিরোধ দীর্ঘদিনের। এ বিরোধের জের ধরে তিনি নিহত হয়েছেন। যা বাদী এজাহারে উল্লেখ করেছেন। তাছাড়া আমির শেখ হত্যা মামলার মোয়াজ্জেম ও মিজান যথাক্রমে ১ ও ৩ নং আসামি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের দু’ জনকে বটিয়াঘাটা উপজেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকা পুলিশ হেড কোয়ার্টারে এআইজি’র পিএ ও নিহতের ছোট ছেলে শেখ জাকিরুল ইসলাম বলেন, তার বড় ভাই শেখ জাহিদুল ইসলাম দক্ষিণ আফ্রিকার সোয়াজিল্যান্ডের একটি কলেজে শিক্ষকতা করেন। ওই দেশে করোনায় লক ডাউন ঘোষিত হওয়ায় বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে। যার জন্য তিনি চেষ্টা করেও দেশে আসতে পারলেন না। কবে নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তা অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় বরিবার বাবা আমির শেখের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

নিহত আমির শেখের স্ত্রী জামিলা বেগম সরাসরি এ ঘটনার জন্য এলাকার চিহ্নিত প্রভাবশালীদের দায়ী করে বলেছেন, তাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। গত ২৩ নভেম্বর আছর নামাজ পড়ে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। ওই দিন প্রথমে ভ্যানে ও পরে তাকে ইজিবাইকে নিয়ে হত্যা করে তার লাশ নদীতে ফেলে দিয়েছে ঘাতকচক্র। তাকে হাত পা বেধে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ২৫ নভেম্বর পুলিশ লাশ পাওয়ার পরও নিয়ম না মেনেই গোপনে দাফনের চেষ্টা করে। যা লাশ গুম করার চেষ্টা বলে তিনি মনে করেন। এ চক্রটি তাদের জমি দখলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। একাধীকবার আমির আলীকে হুমকি ধামকি দেয় চক্রটি। তিনি এ ঘাতকচক্রের উপযুক্ত বিচার চান।