UsharAlo logo
বুধবার, ২৬শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রূপসার ঘাটভোগে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুস শিকদারের পাল্টা সংবাদ সম্মেলন 

ঊষার আলো রিপোর্ট
ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪ ৭:০০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রূপসা উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইউনুস আলী শিকদারের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলনে মিথ্যা বক্তব্যের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুস আলী শিকদার। আজ বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় খুলনা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনুস আলী শিকদার ছেলে হাবিব শিকদার, মহিব শিকদার, ইউনুস আলী শিকদারের ছোট চাচি রাশিদা বেগম, আমজাদ শিকদার, আইনুল হোসেন, মাহমুদ শিকদার হাফিজুর শিকদার, কাজলী বেগম, আরিফ সিকদার প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২০/২/২০২৪ তারিখ তার ভাতিজা আকতার শিকদার তার বিরুদ্ধে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য দিয়েছেন। ইউনুস শিকদারের বড় ভাইয়ের দুই ছেলে কামরুল ও আকতার। বড় ছেলে যুবদলের ক্যাডার। সে এলাকায় বিভিন্ন নাশকতার সাথে জড়িত। আকতার শিকদার নিজেও একজন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। ইতোপূর্বে তিনি নাশকতা মামলায় জেল খেটেছেন। আকতার শিকদারের পিতা অর্থাৎ আমার বড় ভাইয়ের সাথে আমার সুসম্পর্ক থাকায় আমি জমি কেনার জন্য বড় ভাইয়ের নিকট টাকা দিলে আমার বড় ভাই আমার টাকা নিয়ে তিনি নিজের নামে জমির দলিল রেজিস্ট্রি করেছিলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইটভাটা পরিচালনার জন্য ইট প্রস্তুতের মাটি খরিদ করতে গৌরাঙ্গ নামে এক ব্যক্তির সাথে তার চুক্তি হয়। তখন আক্তার শিকদার আমার বড় ভাই ইউসুফ শিকদারকে হাতে নিয়ে আকতার শিকদার ও আমার বড় ভাই আমার নিকট হতে স্কেবেটর ক্রয়ের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা ঋণ নেয়। ঋণের টাকা পরবর্তীতে আমার ব্যাংক একাউন্টে জমা দিবে এ শর্তে তিনি টাকা গ্রহণ করেন। কিন্তু শর্ত থাকলেও তিনি অদ্যবধি এ ঋণের টাকা পরিশোধ করেননি।আমার নিকট থেকে মাটি দেয়ার জন্য ইটভাটার প্যাডের উপর স্বাক্ষর করে ২৫ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। এ পাওনা টাকা চাইতে গেলে তিনি আমার উপর ক্ষিপ্ত হন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্সের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে পরিবেশের লাইসেন্স সংক্রান্ত যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। পরিবেশের লাইসেন্সের বিষয়ে টাকা জমা দেওয়া হয়েছে। সরকারি নিয়ম নীতি মেনেই এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালানো হচ্ছে।
আকতার শিকদারের দুই একর জমি ইট ভাটার মধ্যে রয়েছে এমন বক্তব্যও সঠিক নয়। সর্বোপরি খুলনা জেলার সকল ইটভাটা একই নিয়মে চলছে। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে সরকারি জমি, রাস্তা দখলের বিষয়টি আদৌও সঠিক নয়। আমার টাকায় ক্রয়কৃত জমি যা আমার বড় ভাই নিজ নামে দলিল করেছিলেন। এ জমির মধ্যে কয়েক দাগে ৫০ শতক জমি ইটভাটায় থাকলেও আমার কাছ থেকে আমার আমার বড় ভাই অগ্রিম পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন যা আকতার শিকদার অস্বীকার করে অন্যভাবে দাবি করেছেন।