UsharAlo logo
শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘সম্পদ ব্যবস্থাপনায় ও নারীর নেতৃত্ব পারিবারিক সঞ্চয়কে উৎসাহিত করে’

usharalo
মার্চ ১০, ২০২১ ৬:২৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : নারী নেতৃত্ব অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। নারী নেতৃত্ব পরিবারে ও সমাজে সম্পদের সুষম বন্টন নিশ্চিত করতে পারে যা সকলকে উপকৃত করবে। সম্পদ ব্যবস্থাপনায় ও নারীর নেতৃত্ব পারিবারিক সঞ্চয়কে উৎসাহিত করে যা আমাদের প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলাকে সহজ করবে। গৃহস্থলী কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি পরিকল্পনাতেও নারী নেতৃত্ব জরুরী। একইভাবে আমাদের সন্তান পালন ও বয়োজ্যেষ্ঠদের সেবা প্রদানের ক্ষেত্রেও নারীর নেতৃত্বের পাশাপাশি পুরুষের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। ঘরে বাহিরে সকল ক্ষেত্রে নারীর নেতৃত্ব বিকশিত হওয়ার জন্য প্রয়োজন সহায়ক পরিবেশ। নারী নেতৃত্ব বিকাশের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করার মাধ্যমেই আমরা সমতার বিশ্বের পথে এগিয়ে যেতে পারবো। এসব কথা বললেন মিলন মেলা উদ্বোধনকালে বক্তারা।
বুধবার (১০ মার্চ )সকাল ১০টায় সিটি ল কলেজ প্রাঙ্গণে ব্রাক, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা, ওয়ার্ল্ড ভিষণ, মানবসেবা ও সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা, কে এম এস এস, শিশু সুরক্ষা জোট, লেখিকা সংঘ,খুলনা, খুলনা মহিলা সমিতি , আমরাই পারি জোট, উইমন ইন্টারপ্রানার্স সোসাইটি খুলনা, দৌলতুন্নেছা কিন্ডার গার্টেন ও জনউদ্যোগ নারী সেল খুলনার উদ্যোগে এবার নারী দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘করোনাকালে নারী নেতৃত্ব, গড়বে নতুন সমতার বিশ্ব’ শ্লোগানকে সামনে রেখে দিনব্যাপী মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন নারী নেত্রী এ্যাডঃ শামীমা সুলতানা শীলু। সভা পরিচালনা করেন জনউদ্যোগ,খুলনার সদস্য সচিব মহেন্দ্রনাথ সেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সমন্বয়কারী এ্যাডঃ মোমিনুল ইসলাম। মিলন মেলা উদ্বোধন করেন বিশিষ্ঠ শিক্ষাবিদ প্রফেসর জাফর ইমাম। অতিথি ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সেিবক সভাপতি এ্যাডঃ আব্দুল্লাহ হোসেন বাচ্চু। ক্যানভাসে নারীর সাফল্য তুলে ধরে নারীরা ছবি আঁকেন । এ সময় সভা পরিচালনা করেন ব্রাকের সিনিয়র জেলা ম্যানেজার নয়ন কুমার ঘোষ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এস এ রাকীব, সাবরিনা বিনতে রুপন্তী, আফরোজা জেসমিন বীথি, উম্মুর রেদা, চিশতী মুস্তারী বানু, চিশতী মুজতাবী রিমা, সয়াবুর রহমান, দিলারা নাসরিন প্রমুখ।বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের সফল বাস্তায়নের ফলে নারী উন্নয়ন আজ সুস্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। ব্যবসা-বাণিজ্য, রাজনীতি, বিচারবিভাগ, প্রশাসন, কূটনীতি, সশস্ত্রবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, শান্তিরক্ষা মিশনসহ সর্বক্ষেত্রে নারীর সফল অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশ ক্রমান্বয়ে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
মিলন মেলায় সুবিধা বঞ্চিত পরিবারের শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, নারীর জীবনের সফলতা তুলে ধরে আলোচনা সভা, পুরুষ ও নারীদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। এছাড়া মিলন প্রাঙ্গণ জুরে ছিল নানা প্রকারে স্টল। বক্তারা বলেন, নারী দিবস হচ্ছে- জাতিগত, গোষ্ঠীগত, ভাষাগত, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক কিংবা রাজনৈতিক সব ক্ষেত্রে বৈষম্যহীনভাবে নারীর অর্জনকে মর্যাদা দেয়ার দিন। এদিনে নারীরা তাদের অধিকার আদায়ের জন্য দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাসকে স্বরণ করে এবং ভবিষ্যতের পথ পরিক্রমা নির্ধারণ করে, যাতে আগামী দিনগুলো নারীর জন্য আরও গৌরবময় হয়ে ওঠে।