UsharAlo logo
বুধবার, ২২শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্ধু ফেল করলে দুঃখ পায় ,আরও বেশি পায় পাশ করলে: দেব

বিনোদন ডেস্ক
জানুয়ারি ২২, ২০২৫ ১১:৩২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

বেশ কয়েক বছর ধরে টালিউডে তেমন কোনো ব্যবসা সফল সিনেমা নেই বললেই চলে। অনেকটা অলস সময় পার করছেন এই সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির নামি অভিনেতা-অভিনেত্রীরা।

ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ কম থাকায় সম্প্রতি সময় ঢাকামুখী হতে দেখা গেছে সেখানকার শিল্পীদের। গত দুই বছরে বাংলাদেশে কাজ করেছেন কলকাতার ইধিকা পাল, দর্শনা বণিক, মিমি চক্রবর্তী, সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, কৌশানী মুখার্জিসহ আরও অনেকে। তারও আগে কাজ করেছেন শ্রাবন্তী, স্বস্তিকা, প্রিয়াঙ্কা, ঋতুপর্ণার মতো শিল্পীরা।

ঠিক এমন একটা সময় সুপারস্টার দেবের ‘খাদান’-এর মত ছবি টালিউডের ব্যবসায়িক ভাগ্য ফেরালেন। অবশ্য ‘খাদান’ তৈরির সময়ে মোটেই এমন প্রত্যাশা ছিল না তার। এত দীর্ঘ ক্যারিয়ার এবং সাফল্যের পরও আজ যেন স্বপ্নপূরণের দিন এমনটাই জানালেন তিনি।

সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে এসব নিয়ে কথা বলেন এই অভিনেতা। দেব বলেন, ‘শুধু তো স্বপ্ন পূরণ নয়, এই সাফল্য আমার দায়িত্ব বাড়াল দশ গুণ। আমাকে এবার ভাবতে হবে যখন বাংলা কমার্শিয়াল ছবির সঙ্গে অন্য ভাষার ছবি মুক্তি পাবে তখন যেন কোনো অংশে বাংলা পিছিয়ে আছে এমন মনে না হয়। ক্যানভাসটা আরও বড় করতে হবে।’

সাফল্যের সঙ্গে বিতর্ক কখনো তার পিছু ছাড়েনি। এ প্রসঙ্গে দেবের মত,‘আমি কন্ট্রোভার্সি থেকে দূরে থাকতে চাইলেও বিতর্ক আমার পিছু ছাড়ে না। আমি কিন্তু কারও খাবার ছিনিয়ে নিয়ে নিজের পেটটা ভরতে চাই না। আমার লক্ষ্যটা খুব ক্লিয়ার। আমি একা বড় হতে চাই না। ইন্ডাস্ট্রিটাকে বড় করতে চাই। ২০২৭-২০২৮-এ দাঁড়িয়ে আমাদের বক্স অফিসটা যেন ৫০-৬০ কোটি টাকা ছুঁতে পারে। এইভাবেই তো সাউথ-মুম্বই ইন্ডাস্ট্রি বড় হয়েছে। আমরা এগোতে পারি না তার কারণ আমরা একে অন্যের সাকসেসটাকে সেলিব্রেট করি না। কেউ কাউকে এগোতে দিই না। আমি সেটাকেই ভাঙতে চাই।’

বাঙালি কাঁকড়ার জাত। এ কথা কি বিশ্বাস করেন দেব? উত্তরে অভিনেতার স্পষ্ট জবাব, ‘বাঙালির একটা অদ্ভুত অভ্যাস আছে। বন্ধু ফেল করলে দুঃখ পায়। পাশ করলে আরও বেশি দুঃখ পায়। প্রথম হলে তো কথাই নেই!’ আমার কাছে আর কিছুই ম্যাটার করে না। শুধু আমার দর্শক কী বলছেন সেটুকু নিয়েই আমি চিন্তা করি।’

দেব বলেন, ‘রুক্মিণীর বিনোদিনী নিয়েও তো লোকে নানা কথা বলেছেন। অনেক বড়-বড় অভিনেত্রীরাও বলেছেন এত রোগা বিনোদিনী হয় নাকি? তাতে রুক্মিণী বিচলিত হলেও আমি ওকে বলেছিলাম, তুমি নিজের কাজেই ফোকাস করো। আশেপাশের কথায় কান দিও না। নিজে যদি কনফিডেন্ট থাকো তা হলে ছবিটা করো, না হলে করো না। আমি মন থেকে বিশ্বাস করি, কাউকে ছোট করে নিজেকে বড় করা যায় না। আমার রাজনৈতিক জীবনেও কোথাও প্রচারে গেলে বিপক্ষ দলের লোককে আমি শুভেচ্ছাবার্তা পাঠাই। এটা বোধহয় ভারতবর্ষে প্রথমবার আমিই করতে পেরেছি।’

‘খাদান’ মুক্তির পর ফ্যান ক্লাবের অন্য ছবি নিয়ে নানা কটাক্ষ প্রসঙ্গে দেবের বলেন, ‘ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের সমর্থকরাও নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করেন। এতে কি দলের কোন হাত থাকে? সে রকম আমারও একই বক্তব্য, আমার অনুরাগীরা যদি কাউকে কটাক্ষ করে থাকেন, তার দায়িত্ব আমি কীভাবে নিতে পারি? এই সবের মধ্যে আমাকে বারবার টানা হচ্ছে। সেলিব্রিটিরা তো সব সময়েই সফট টার্গেট। আর আমি তো আমার ক্যারিয়ারের শুরু থেকে ট্রোলড হচ্ছি। তাই এ সব বিষয়কে ইগনোর করাই ভালো বলে আমার মনে হয়।’

ঊষার আলো-এসএ