UsharAlo logo
শনিবার, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ আরব দেশের সঙ্গে ভোলার ১০ গ্রা‌মেও ঈদ

usharalodesk
মে ২, ২০২২ ১১:০২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট: সৌদি আরবসহ আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ভোলার পাঁচ উপজেলার ১০ গ্রামের প্রায় তিন হাজার পরিবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছে। সোমবার (২ মে) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের মুলাইপত্তন গ্রামের আমিন মিয়া চৌকিদার বাড়ির দরজা জামে মসজিদের সভাপতি মাসুদ পারভেজ রহিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আরবি-রীতি অনুযায়ী দরবারে আউলিয়ার সুরেশ্বর দরবার পীরের অনুসারীরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ উদযাপন করে থাকে। সে অনুযায়ী ভোলা জেলার পাঁচ উপজেলার ১০টি গ্রামের প্রায় তিন হাজার পরিবার একযোগে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছে।

সকাল সাড়ে ৮টায় বোরহানউদ্দিন উপজেলা টবগী গ্রামে খলিফা মজনু মিয়ার বাড়ির জামে মাসজিদ ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।একই সঙ্গে গ্রামের চৌকিদার বাড়ির জামে মসজিদে সকাল ৯টায় এবং পঞ্চায়েত বাড়ির জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে জেলার বিভিন্ন জায়গায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি আরও বলেন, সুরেশ্বর পীরের মুরিদ ছাড়াও চট্টগ্রামের সাতকানিয়া এবং ভান্ডারি শরিফ পীরের মুরিদের পরিবারের সদস্যরা শতাধিক বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে আসছেন। এদের অনুসারী ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা, চৌদ্দগ্রাম, বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ও মুলাইপত্তন গ্রাম, তজুমদ্দিন উপজেলার শিবপুর, খাসেরহাট, চাঁদপুর ও চাঁচড়া গ্রাম, লালমোহন উপজেলার পৌর শহর, ফরাজগঞ্জ গ্রাম এবং চরফ্যাশন উপজেলার পৌর শহর, দুলারহাট, ঢালচর ও চর পাতিলাসহ ১০ গ্রামের প্রায় তিন হাজার পরিবার প্রতি বছর একদিন আগে রোজা রাখেন। এবং আরব দেশের সঙ্গে একই দিন ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপন করে থাকেন।

শরীয়তপুর জেলার নুরিয়া উপজেলার ‘দরবারে আউলিয়ার সুরেশ্বর দরবার’-এর মুরিদ মজনু মিয়া বলেন, আমাদের মতে পৃথিবীর যেকোনো স্থানে চাঁদ দেখা গেলেই রোজা এবং ঈদ পালন করা যায়। সে অনুযায়ী আমরা প্রতিবছর এক দিন আগে সৌদি আরবের সঙ্গে মিলরেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে আসছি।

ঊষার আলো-এসএ