সৈয়দ মো: রাসেল, কলাপাড়া:কলাপাড়ায় জালালপুর গ্রামের অন্তত ৩০ মিটার বেড়িবাঁধ আন্ধারমানিক নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এখন শুধু কান্ট্রি সাইটের কিছুটা অংশ বাকি আছে। ফসল ও বসতভিটা রক্ষায় বেড়িবাঁধের ওই অংশটুকু রক্ষা করতে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছেন এলাকাবাসী। উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ৪৬নং পোল্ডারের জালালপুর গ্রামসহ আট গ্রামের অন্তত: দুই হাজার কৃষক পরিবার জোয়ারের পানি প্রবেশে আমন ফসল হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন। কৃষকের অভিযোগ মাত্র কয়েক মাস আগে ওই স্পটের বাঁধটি বালু সিমেন্ট ভর্তি জিও ব্যাগ দিয়ে জরুরি প্রটেকশন দেয়া হয়েছে।
বাঁধঘেষা গ্রামের বাসীন্দা আব্দুল জলিল হাওলাদার জানান, হঠাৎ করে রবিবার দুপুরে এই বাঁধটি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এখনও ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। এখন শুধু স্লোপ বাকি আছে। টপসহ মূল বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। ফলে জালালপুর, সদরপুর, আক্কেলপুর, সৈয়দপুর, মজিদবাড়িয়া, দরিয়াপুর, হাজীপুর, লস্করপুর গ্রামের কৃষক আমন হারানোর শঙ্কায় পড়েছেন। দুই চারদিনের মধ্যে মেরামত না করলে কয়েক হাজার একর আমন ধান নদীর পানি প্রবেশ করে ডুবে যাবে।
মিরাজ হাওলাদার জানান, ৪-৫ মাস আগে এই বাঁধের কাজ করা হয়েছে। তাদের দাবি শুধুমাত্র বালু ভর্তি করে নামে মাত্র সিমেন্ট দিয়ে জিও ব্যাগ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে বাড়িঘর জনপদ সব পানিতে ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্কুলগামী শিশুদের যোগাযোগ বন্ধেরও শঙ্কা রয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. বাবুল মিয়া জানান, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। এলাকার মানুষ নিয়ে তিনি ভীত রয়েছে। তিনি বলেন, আমি উপজেলা পরিষদের মিটিংয়ে এই বাঁধ মেরামতের কথা আগেই বলে আসছি। এখন ভেঙ্গে গেছে। আমার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের টোটাল বাঁধটি মেরামত করা প্রয়োজন। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে তিনি জরুরি ভিত্তিতে ভাঙ্গা বাঁধ মেরামতের জন্য জোর অনুরোধ করেছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন জানান, ৪৬ নম্বর পোল্ডারের জালালপুরে ৩০মিটার বাঁধ ভাঙ্গার খবর শুনে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখন জরুরি ভিত্তিতে ভাঙ্গা অংশ মেরামতের পদক্ষেপ নেয়া হবে।