সৈয়দ রাসেল, কলাপাড়া : পটুয়াখালীতে ‘কলাপাড়া সম্মিলিত নাগরিক অধিকার জোট’র ১২ নভেম্বর রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবি।সংগঠনটি কলাপাড়া সহ উপকূলীয় দক্ষিণ অঞ্চল এলাকায় ১৯৭০ -এর ১২ নভেম্বর মহা প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় গোর্কি’র তান্ডবে নিহতদের স্মরণে -স্মরণ সভা ও দোয়া মোনাজাতের আয়োজন করে।
কলাপাড়া পৌর শহরের শহীদ সুরেন্দ্র মোহন চৌধুরী সড়ক (মনোহরি পট্টিতে) ওই স্মরণ সভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ রেজাউল করিম, সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক গৌতম চন্দ্র হাওলাদার।
ওই সময় বক্তৃতা রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল্লাহ রানা, সহ-সভাপতি ইয়াকুব খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিএইচ সুমন তালুকদার,সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মোঃ রাসেল, সদস্য মোঃ কামাল হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা এ সময়, ১২ নভেম্বর রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবি জানিয়ে উপকূলীয় অঞ্চলকে দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা, উপকূল উন্নয়ন বোর্ড গঠন, সুপেয় পানি সংকটের স্থায়ী সমাধান, নদী ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, উপকূল জুড়ে টেকসই বাঁধ নির্মাণ, উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ, উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের অধিকার ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব খাপখাওয়াতে ক্ষতিগ্রস্থদের সহযোগিতা করা, অভিযোজন প্রক্রিয়া বাড়ানো, জলবায়ু শরনার্থীদের টেকসই পুর্নবাসন করা, দেশের পাহাড়-টিলা, বনাঞ্চল, গাছপালা, বন্যপ্রাণী, নদী এবং সর্বোপরি পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষা করা ও সংরক্ষণ করা ও প্লাস্টিক দূষণ রোধে এবং বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিপন্ন উপকূল জনগোষ্ঠীর টেকসই নিরাপত্তার দাবি জানান।
উল্লেখ্য যে, ও ১২ নভেম্বর ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবিতে ‘কলাপাড়া সম্মিলিত নাগরিক অধিকার জোট’ কলাপাড়া সহ দক্ষিণাঞ্চলের সকল উপকূলীয় অঞ্চলে ১৯৭০ সনের ১২ নভেম্বর ভায়াল কালরাত্রিতে মহা প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় গোর্কি’র তান্ডব লীলায় কলাপাড়ায় লক্ষাধিক উপকূলবাসীর প্রাণ কেড়ে নেয়, তাই মহামারী ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের স্মরণে -শহীদ সুরেন্দ্র মোহন চৌধুরী সড়ক (মনোহরি পট্টিতে) ১১ নভেম্বর শুক্রবার রাত ৮ টায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন শেষে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং ১২ নভেম্বর শনিবার একই স্থানে সকাল ১১ টায় স্মরণ সভা ও নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল এবং উপকূল দিবস -২০২২ পালনের দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি হাতে নেয়।
স্মরণসভা শেষে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন, হাফেজ মোঃ মাহমুদুল হাসান।
(ঊষার আলো-এফএসপি)