UsharAlo logo
শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাঠ পুড়িয়ে হচ্ছে কয়লা, নেই অনুমতি

usharalodesk
জুলাই ৫, ২০২১ ৬:৩৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মোঃ মেহেদী হাসান, মণিরামপুর : যশোরের মনিরামপুরে লোকালয়ে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা বানাচ্ছে একটি চক্র। কাঠ পোড়ানো ধোয়ায় নষ্ট হচ্ছে এলাকার পরিবেশ। কোনপ্রকার অনুমতি না নিয়ে গত দুইমাস ধরে উপজেলার কুলিপাশা গ্রামে অবৈধ কাজটি করে চলেছে চক্রটি। প্রকাশ্যে কাজটি চলমান থাকলেও তাদের উচ্ছেদে নেই কোন উদ্যোগ। রোববার (৪জুলাই) বিকেলে সরেজমিন দেখাযায়, চারটি বড় চুল্লির মধ্যে তিনটিতে কাঠ পুড়ছে। দুইটি চুল্লির নির্মাণ কাজ চলছে। চুল্লিগুলোর সামনে কাঠের দীর্ঘ স্তুপ। চুল্লি থেকে পোড়া কাঠের ধোয়া বের হচ্ছে অবিরত। গত ৮-১০ দিন এভাবে ধোয়া বের হয়ে মিশে যাচ্ছে বাতাসে। এসময় কথাহয় চক্রটির হোতা আমিনুর রহমান বাদশার সাথে। তার বাড়ি চট্টগ্রামে। তিনি কয়লার ব্যবসার কথা বলে কৌশলে স্থানীয় কাশিমনগর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৫০০ টাকার একটি লাইসেন্স নিয়ে কাজটি শুরু করেন। সহযোগী হিসেবে নিয়েছেন ইত্যা বাজার এলাকার শাহিন হোসেন নামে এক যুবককে। বাদশা জানান, কুলিপাশা গ্রামের বিষে দাসের কাছ থেকে বছরে ১৭ হাজার টাকা করে ১৭ শতক জমি নিয়ে কয়লা পোড়ানোর কাজ করছেন তিনি। ১০ লাখ টাকা খাটিয়ে চারটি বড় চুল্লি বসিয়ে দুই মাস ধরে তিনি কাঠ পোড়ানো কাজ চালাচ্ছেন। স্থানীয়ভাবে কাঠ কিনে ৭-৮জন শ্রমিক খাটিয়ে তিলি কয়লা উৎপাদন করছেন। এই কয়লা ৬০০ টাকা বস্তা দরে ঢাকায় সরবরাহ দেন। মাসে লাভ হয় ২০-২৫ হাজার টাকা। বাদশা বলেন, একবার কয়লা বিক্রি করিছি। আবার চুলা ধরাইছি ৮-১০ দিন আগে। কয়লা হতে ১৫ দিন সময় লাগে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে লাইসেন্স নিয়ে কাজ চালাচ্ছি। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। কাগজপত্র ঠিকঠাক করার কাজ শেষ পর্যায়ে। কুলিপাশা গ্রামের জাকির হোসেন বলেন, চুলার ধোয়ায় আমাদের চোখমুখ জ্বালা করে। রাতে ঘুমাতে কষ্ট হয়। আমরা চাচ্ছি, কাজ বন্ধ করে এরা এখান থেকে চলে যাক। কাশিমনগর ইউপি সচিব শাহ আলম বলেন, কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির কথা ওরা বলেনি। কয়লার ব্যবসার কথা বলে ৫০০ টাকা দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে। পরে জানতে পেরে কয়েকদিন আগে গ্রাম পুলিশ নিয়ে চেয়ারম্যান জিএম আহাদ আলী চুলার হাতল ভেঙে দিয়েছেন। কাজ বন্ধ করবে বলে ওরা ৮-১০ দিন সময় নিয়েছে। জানতে চাইলে ইউএনও সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, আমি জানার পর স্থানীয় চেয়ারম্যানকে দিয়ে দুই তিন বার বন্ধ করাইছি। বিষয়টি পরিবেশ অধিদপ্তরের। এই ব্যাপারে তাদেরকে পদক্ষেপ নিতে হবে।

(ঊষার আলো-আরএম)