UsharAlo logo
শনিবার, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কয়রায় জনসাধারণের সাথে বেড়িবাঁধ মেরামতের কাজে এমপি বাবু

usharalodesk
জুন ১, ২০২১ ২:০৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি : প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় আইলার অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে ত্রাণ নয় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। উপকূলীয় কয়রায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস দুর্গত এলাকা পরিদর্শনকালে স্থানীয় সাংসদ ও প্রশাসনের কাছে এমনই দাবি করেছেন এলাকার সর্বস্তরের মানুষ।
মঙ্গলবার (১ জুন) দুর্গতদের পুনর্বাসনে খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু উপজেলার সবচেয়ে স্পর্শকাতর ভাঙন কবলিত দশালিয়া বাঁধে পৌঁছলে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করা হাজার-হাজার গ্রামবাসী টেকসই বাঁধের দাবি করেন। এ সময় সংসদ সদস্য তাদেরকে দ্রুত টেকসই বাঁধের আশ্বস্ত করেন। সাংসদ গ্রামবাসীদের সঙ্গে বাঁধ মেরামতে অংশ নেন। বিকেলে উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের গাতির ঘেরী এলাকার ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেন এমপি বাবু।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ৬ দিন কেটে গেলেও কয়রা উপকূল ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ মেরামত না হওয়ায় চরম দুর্ভোগে দিনাতিপাত করছে পানিবন্দি হাজার হাজার মানুষ। গত ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াশ এর প্রভাবে পাউবোর বেড়িবাঁধ ভেঙে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন নোনা পানিতে নিমজ্জিত হয়। গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে কয়েকটি বাঁধ আটকাতে সক্ষম হলেও মহারাজপুরের দশালীয়া ও উত্তর বেদকাশী গাতিরঘেরি বাঁধ দিয়ে অব্যাহত জোয়ারের পানিতে তলিয়ে আছে ৩ ইউনিয়নের অন্তত ৪০টি গ্রাম, এতে করে পানিবন্দি হয়েছে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ।
স্থানীয় সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, ষাটের দশকে নির্মিত বাঁধগুলো দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এসব বাঁধ জোয়ারের পানির চাপ সহ্য করতে পারছে না। এজন্য সরকার টেকসই বাঁধ নির্মাণের মেগা প্রকল্প নিয়েছে। সেই কাজ শুরু হওয়ার আগে বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানসমূহ জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারের জন্য মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। পানিসম্পদ উপমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। স্থানীয় জনগণও স্বতঃস্ফুূর্তভাবে বাঁধ সংস্কারে অংশ নিচ্ছে। সংস্কার কাজের অগ্রগতি দেখতে উপমন্ত্রী চলতি সপ্তাহে ওই এলাকায় যাবেন বলে জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আনোয়ার ইকবাল মন্টু, কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জিএম মোহসিন রেজা, কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এস এম শফিকুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান কমলেশ কুমার সানা, কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল হোসেন, উত্তর বেদকাশী ইউপি চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন লাভলু, বাগালী ইউপি চেয়ারম্যান আঃ সাত্তার পাড়, বাগালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আঃ সামাদ গাজী, আমাদী ইউপির নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জিয়াউর রহমান জুয়েল, মহারাজপুর ইউপির নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, পাইকগাছার গদাইপুর ইউপির নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জিয়াদুল ইসলাম জিয়া, কয়রা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাফরুল ইসলাম পাড়, আওয়ামী লীগ নেতা হারুন অর রশীদ, মহারাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার খায়রুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গনেশ মন্ডল, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন বাবু, জেলা যুবলীগ নেতা শামীম সরকার, পাইকগাছা উপজেলা যুবলীগ নেতা এম এম আজিজুল হাকিম, কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেজবা উদ্দিন মাসুম, কয়রা উপজেলা যুবলীগ নেতা এ্যাড. আরাফাত হোসেন, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক আফি আজাদ বান্টি, খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোঃ আবু সাঈদ খান, ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল ইসলাম সজীব, জেলা ছাত্রলীগ নেতা পার্থ প্রতিম চক্রবর্তী, মাসুদুর রহমান মানিক, কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ শরিফুল ইসলাম টিংকু, পাইকগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানজিম মুস্তাফিজ বাচ্চু, পৌরসভা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রায়হান পারভেজ রনি, জেলা ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ রানা প্রমুখ।

(ঊষার আলো-এমএনএস)