UsharAlo logo
রবিবার, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খালি পড়ে আছে ভূমিহীনদের ১০ ঘর

koushikkln
নভেম্বর ২৫, ২০২১ ৭:২৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মোঃ মেহেদী হাসান, মনিরামপুর : যশোরের মনিরামপুরে কাশিমনগর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য নিখিল চন্দ্র দাস। এবারও নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। এ ইউপি সদস্যর বাবা নিবারণ চন্দ্র দাস ইউনিয়নের শিরালী মৌজায় ভূমিহীনদের জন্য নির্মিত একটি ঘর পেয়েছেন। ৮ মাস আগে ঘর বুঝে পেলও এ পর্যন্ত সেই ঘরে ওঠেননি নিবারণ। ইত্যা ঋষিপল্লীতে নিজ ভিটায় থাকছেন তিনি। তাঁর আশ্রয়ণ পল্লীর ঘরটা খালি পড়ে আছে। শুধু নিবারণের ঘর নয় শিরালী আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩৭ টি ঘরের মধ্যে এমন ১০টি ঘর খালি পড়ে আছে।

যারা এখনো ঘরে ওঠেনি তাঁরা হলেন, ইত্যা গ্রামের শাহীন হোসেন, আলমগীর হোসেন, আব্দুল হাই, নিবারণ দাস, তিলক দাস ও উজ্জ্বল দাস, কাশিমনগর গ্রামের জবেদা বেগম, সুন্দ্রা গ্রামেন আমিনুর রহমান, নাঁদড়া গ্রামের আলমগীর হোসেন এবং শিরালী গ্রামের শামীম হোসেন। গতকাল বুধবার সরেজমিন আশ্রয়ণ পল্লীটিতে গিয়ে দশটি ঘর খালি পড়ে থাকতে দেখা গেছে। ঘরগুলোতে কেউ বসবাস না করায় ওই পল্লীর বাসিন্দারা দরজার পাশে ক্রস চিহ্ন দিয়ে রেখেছেন।

শিরালী প্রকল্পের বাসিন্দা সাগর হোসেন বলেন, ঘর বিতরণের সময় প্রকৃত ভূমিহীন দেখে দেওয়া হয়নি। ঋষিপল্লীর নিখিল মেম্বরের বাবা ঘর পেয়েছেন। এক দিনও আসেননি। এ পল্লীতে ১০-১১ টি ঘর খালি পড়ে আছে। ঘরগুলো দখলে রাখার জন্য মালিকরা সপ্তাহে বা মাসে একদিন করে এসে দেখে যান। জানতে চাইলে ইউপি সদস্য নিখিলচন্দ্র বলেন, আমাদের ভিটা বাড়িতে বাবা থাকেন। উনি সরকারি ঘরে যাবেন না। মণিরামপুরে উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন এলাকায় ভূমিহীনদের জন্য তিন শতাধিক ঘর নির্মিত হয়েছে। যার মধ্যে কাশিমনগর ইউনিয়েনের শিরালীতে রয়েছে ৩৭ টি ঘর। অভিযোগ রয়েছে সঠিক তদন্ত করে ঘরগুলো বিতরণ করা হয়নি। ফলে ভূমিহীন নয় এমন অনেক স্বচ্ছল ব্যক্তি আশ্রয়ণের ঘর পেয়েছেন। নিজ ভিটা ছেড়ে না আসায় এ সব ব্যক্তিদের দখলে থাকা ঘরগুলো খালি পড়ে আছে।

শিরালী আশ্রয়ণ পল্লীর বাসিন্দারা বলছেন, যারা ঘরে উঠছেন না তাঁদের তালিকা করে ইউএনও অফিসে জমা দিয়েছি। ঘরগুলো বাতিল করে প্রকৃত পাওয়ার যোগ্যদের দেওয়ার জন্য আমরা অনুরোধ করেছে। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান মোবাইল ফোনে কথা বলতে রাজি হননি। এদিকে শিরালী আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা নিরাপদ পানির সংকটে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন। দুইমাস আগে ওই পল্লীতে চারটি আর্সেনিকমুক্ত টিউবওয়েলের পাইপ স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু এখনো মাথা লাগানো হয়নি। ফলে দূর-দূরন্ত থেকে পানি এনে তাঁদের পান করতে হচ্ছে। এ পল্লীতে ঘর নির্মাণের সময় দুটি অগভীর টিউবওয়েল বসানো হয়েছিল। যা ২৫-২৭টি পরিবারের ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত নয় বলে জানিয়েছেন এখানকার বাসিন্দারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মনিরামপুর জনস্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী জয়দেব কুমার দত্ত বলেন, নলকূপ স্থাপন না হওয়ার বিষয়টি আমি জানি। বাইরের ঠিকাদার হওয়ায় তাকে ধরা যাচ্ছে না। আগামী ডিসেম্বরের ১৫ তারিখের মধ্যে ঠিকাদারকে সমস্থ নলকূপ স্থাপন করে দেওয়ার জন্য বলা হযয়েছে। তা না করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।