বলিউড অভিনেত্রী ও মডেল হারশালি মালহোত্রা। ১৬ বছর বয়সি এ অভিনেত্রী মাত্র ছয় বছর বয়সে সুযোগ পান বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের সঙ্গে কাজ করার। সেই সিনেমার নাম ছিল ‘বজরঙ্গি ভাইজান’। ওই সিনেমাতে হারশালির চরিত্রের নাম ছিল ‘মুন্নি’। তখন এ নামেই বেশিরভাগ মানুষ চিনতো এ খুদে অভিনেত্রীকে।
বজরঙ্গি ভাইজান সিনেমা মুক্তির ১০ বছর আজ (বৃহস্পতিবার)। এখন সেই ছোট মুন্নি কিশোরী। নিজের প্রথম সিনেমা নিয়ে একটি খোলাচিঠি লিখেছেন মুন্নি। এতে সালমানের সঙ্গে অভিনয়ের বেশ কিছু কথা তুলে ধরেছেন তিনি। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
হারশালি লিখেছে, ‘১০ বছর আগের কথা। সেই সময়ে একটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল। যে সিনেমাটি একটি গল্পের চেয়েও অনেক বেশি কিছু। এটা ছিল একটা অনুভূতি। এটায় ছিল ভালোবাসার বার্তা, মানবিকতা ও বিশ্বাস, যা সিনেমাটিকে বিশ্বের লাখ লাখ দর্শকের কাছে নিয়ে গিয়েছিল। তখন আমার বয়স ছিল মাত্র ছয় বছর। আর সেই সময়েই বজরঙ্গি ভাইজান আমার জীবনে প্রবেশ করে।’
সিনেমার গল্পে দেখা যায়, হঠাৎই ট্রেন থেকে নেমে হারিয়ে যায় শিশুটি, যার নাম ছিল মুন্নি। কিন্তু পুরো সিনেমায় এ শিশু চরিত্রের তেমন সংলাপ ছিল না। সেই স্মৃতি স্মরণ করে হারশালি লিখেছে, ‘আমার চরিত্রটি ছিল এমন, আমি কোনো কথা বলতে পারতাম না। সিনেমাজুড়ে আমার নীরবতা কতটা গভীরভাবে অনুভূত হবে, তা কল্পনাও করিনি। ছয় বছর বয়সে আমি অনেক কিছুই বুঝতাম না। তবে মুন্নি চরিত্রটিকে চিনতে পেরেছিলাম। আমি তাকে বুঝতে পেরেছিলাম। তাকে প্রাণ দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলাম। মুন্নি ছিল সাধারণ এক বালিকা, ছিল শান্ত কিন্তু চলচ্চিত্রের পুরো আবহটা নিজের সঙ্গে বহন করতে পেরেছিল।’
সিনেমার শুটিংয়ের সেই দিনগুলো নিয়ে তিনি লিখেছে, ‘আমি সিনেমার শুটিংয়ের বাহিরে ছিলাম শিশু, যে সারাক্ষণ খেলে আনন্দে সময় কাটাত। কিন্তু সিনেমার চরিত্রে আমাকে সংবেদনশীল থাকতে হতো। মারামারির দৃশ্যগুলো আমাকে উদ্বিগ্ন করত, আমি কান ধরে রাখতাম, যেন শুনতে না পাই। কখনো চেয়ারের পেছনে লুকাতাম, কখনো কান্না করতাম। কারণ, আমি কিছুই বুঝতে পারতাম না, কী হচ্ছে। তবে পুরো শুটিংয়ে আমি নিরাপদ ছিলাম। সবার ভালোবাসা পেয়েছি।’
সালমান খানকে নিয়ে হারশালি লিখেছে, ‘সালমান স্যার আমাকে সবচেয়ে বেশি আদর করেছেন। তার কাছেই আমি বেশি উষ্ণ আদর পেয়েছি। পরিচালক কবির স্যার সিনেমার প্রতিটা দৃশ্যকে গল্পের মতো করে বলতেন, যে কারণে এটাকে শুধুই অভিনয় মনে হয়নি। সিনেমার ইউনিটের সবাই আমাকে অনেক আদর করতেন। সবাই এমন আচরণ করতেন, দেখে মনে হতো আমি তাঁদের অনেক চেনা ও অনেক কাছের।’
ঊষার আলো-এসএ