ঊষার আলো রিপোর্ট : উত্তরের জেলা নীলফামারীতে প্রতিদিনই নামছে তাপমাত্রা। দিনের বেলায় তেমন শীত অনুভূত না হলেও সন্ধ্যার পর থেকেই হিম বাতাসে শীত অনুভূত হচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরে মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকছে পুরো জেলা। ঘন কুয়াশার কারণে এ অঞ্চলের আকাশ ও সড়ক পথে যান চলাচল বিঘ্ন ঘটছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে কোনো ফ্লাইট অবতরণ করতে পারেনি।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করছে বিভিন্ন যানবাহন। এতে দূরপাল্লার যানবাহনগুলো নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে না। এমন আবহাওয়ার কারণে অফিসগামী ও শ্রমজীবী মানুষেরা কিছুটা বিপাকে পড়েছে।
বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৭টায় বিমানবন্দর এলাকায় দৃষ্টিসীমা ছিল মাত্র ৫০ মিটার। সকাল ৮টায় ৬০ মিটার। যা সকাল সাড়ে ৯টায় বেড়ে দাঁড়ায় ১৫০০ মিটারে। সাধারণত ২ হাজার মিটার দৃষ্টিসীমা থাকলে রানওয়েতে বিমান ওঠানামা করতে পারে। তাই কোনো ফ্লাইট অবতরণ করতে পারেনি। শুধু তাই নয় গত ২৪ ঘণ্টায় এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড ২০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, দৃষ্টিসীমা কম থাকায় সকাল থেকে ইউএস-বাংলা ও নভোএয়ারের দুটি ফ্লাইট সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করেনি। এর ফলে ওই দুটি ফ্লাইটের ঢাকাগামী শতাধিক যাত্রী সৈয়দপুর বিমানবন্দরে আটকা পড়েছে। সূচী অনুযায়ী সকাল ৭টা ২০ মিনিটে নভোএয়ার ও সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ দুটি ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করত।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ম্যানেজার সুপ্লব কুমার ঘোষ বলেন, আজ ঘন কুয়াশার কারণে বিমানবন্দরের কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো বিমান উঠানামা করতে পারেনি। তবে আশা করছি কিছু সময়ের মধ্যে সব স্বাভাবিক হবে।
তিনি আরও বলেন, শীতকালে বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রায় দিনেই বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে থাকে। এ জন্য শীতকালে এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটগুলো আলাদা শিডিউলে চলাচল করে। আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে নতুন ওই শিডিউল কার্যকর হবে।
ঊষার আলো-এসএ