বিনোদন ডেস্ক : দুই দফা জানাজা শেষে ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে সমাধিস্থ করা হবে অভিনেতা প্রবীর মিত্রকে। তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সোমবার জোহরের নামাজের পর প্রথম দফায় জানাজা হবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি)। দ্বিতীয় দফার জানাজার জন্য অভিনেতার মরদেহ নেওয়া হবে ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকায় অবস্থিত চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে।
জানাজা শেষে প্রবীর মিত্রকে ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে মরদেহ সমাধিস্থ করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সদ্য প্রয়াত অভিনেতার পুত্রবধূ সোনিয়া ইসলাম।
ঢালিউডের রুপালি পর্দার কিংবদন্তি মুকুটবিহীন বাংলার নবাবখ্যাত প্রবীর মিত্র রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গতকাল রোববার রাত ১০টা ১০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। এর আগে বর্ষীয়ান এ অভিনেতা বেশ কিছু দিন শারীরিক জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
কিংবদন্তি অভিনেতা ১৯৪৩ সালের ১৮ আগস্ট কুমিল্লার চান্দিনায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম প্রবীর কুমার মিত্র। পুরান ঢাকায় বড় হওয়া এ অভিনেতা স্কুলজীবন থেকেই নাট্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। স্কুলজীবনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন তিনি।
প্রবীর মিত্র ১৯৬৯ সালে প্রয়াত এইচ আকবরের ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। যদিও এ ছবিটি ১৯৭১ সালের ১ জানুয়ারি মুক্তি পায়। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তিনি ‘নায়ক’ হিসেবে কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। সর্বশেষ প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ‘রঙিন নবাব সিরাজউদ্দৌলা’ সিনেমায়। পরবর্তী সময় নায়ক না হয়ে চরিত্রাভিনেতার দিকে মনোযোগী হয়ে কাজ করেও তিনি দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেন।
তার উল্লেখযোগ্য ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘জীবন তৃষ্ণা’, ‘সেয়ানা’, ‘জালিয়াত’, ‘ফরিয়াদ’, ‘রক্ত শপথ’, ‘চরিত্রহীন’, ‘জয় পরাজয়’, ‘অঙ্গার’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘মধুমিতা’, ‘অশান্ত ঢেউ’, ‘অলংকার’, ‘অনুরাগ’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘তরুলতা’, ‘গাঁয়ের ছেলে’, ‘রঙিন নবাব সিরাজউদ্দৌলা’, ‘পুত্রবধূ’সহ চার শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন।
ঊষার আলো-এসএ